বাইক দুর্ঘটনার কিছু সাধারণ কারণ ও প্রতিকার
আপডেট: ২০১৫-১২-১৯ ২০:৪৪:০৮
মোটরসাইকেল রাইডিং হল অন্যতম ভয়ানক একটা কাজ। যদি আপনি একজন মোটরসাইকেল প্রেমিক হন এবং স্পিডই হয় আপনার জীবনের একটা বড় জিনিস। আর স্পিডের প্রতি কেউ একবার ঝুকে গেলে তাকে এটা থেকে সরিয়ে আনা খুবই কষ্টকর। আর , এই কারণেই বাইক হল সবথেকে মারাত্মক একটা যানবাহন। যেকোন সময়, যেকোন কারণে , আপনার নিজের কোন দোষ ছাড়াও আপনি এক্সিডেন্ট-এর শিকার হতে পারেন। আজ এই রোড এক্সিডেন্ট কেন হয়ে থাকে এবং এটা প্রতিরোধ করার উপায়গুলো নিয়ে একটা আলোচনা করব।
বাইক এক্সিডনে্টের কিছূ কমন কারণ ও তাদের সমাধান: আপনি একজন ভাল রাইডার এবং আপনি সবসময়ই কোন ক্রাশ থেকে এড়িয়ে চলতে চান। তাহলে আপনাকে এই সম্পর্কে ভালভাবে জানতে হবে। কীভাবে রোড ক্সিডেন্ট হতে পারে , কেন হতে পারে , কীভাবে এগুলো প্রতিরোধ করা যায় প্রভৃতি। এসব সেফটি টিপস শুধু আপনাকে ক্রাশ থেকে যে বাঁচাবে এটা নয় , এগুলো আপনাকে রাইডিং-এর সময় অনেক সুবিধা ও আরামও দিবে। রাইডিং-এর সময় সবসময় নিজেকে অন্যদের কাছে ভিজিবল রাখুন এবং বেশ নজর কাড়ে এমন সব ড্রেস পড়ুন। নিচে কোন কোন কারণে বেশী বাইক এক্সিডেন্ট হয়ে থাকে এবং এই সব ক্ষেত্রে করণীয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে-
কোন যানবাহন আপনার সামনে থেকে বায়ে মোড় নিলে
এই টাইপের এক্সিডেন্টই বেশী হয়ে থাকে। আপনার সামনের একটা কার বা অন্য কোন যানবাহন আপনাকে না দেখেই বা আপনার স্পিড ভালভাবে না বুঝেই বাদিকে মোড় নিলে আপনি যদি আগে থেকে সতর্ক না থাকেন তাহলে এক্সিডেন্ট অবসম্ভ্যাবী।
এটা এড়ানোর জন্য সবসময় আপনার সামনের যানবাহনের সিগন্যাল লাইটের দিকে খেযাল করুন। এটা কোন দিকে টার্ন নিতে পারে সেটা লক্ষ্য করুন। আর এমন সিচুয়েশনে বাইক স্লো ডাউন করে ফেলুন। আপনি যে পেছনে আছেন সেটা বোঝাবার জন্য কিছু করতে পারেন। আর কোন কারের দিকে তাকানোর আগে সেটার চাকার দিকে তাকান। ফলে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন এটা কোন দিকে যাবে। আর যদি এমন পরিস্থিতিতে পড়ে যান তাহলে কোন পথে আপনি সহজেই বের হয়ে যেতে পারবেন সেটা খুজে বের করুন।
কর্নারিং-এর সময় কোন নূড়ি বা পাথরের উপরে চাকা উঠলে
আপনি কোন কর্নারিং এর সময় কোন উচু কিছু বা পাথর বা গোল ছোটখাট গর্তের উপর দিয়ে বাইক চালিয়ে দিয়ে একটা এক্সিডেন্ট ঘটাতে পারেন। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে যেটা ঘটে থাকে সেটা হল আপনার সামনের চাকা গর্তে বা কোন পাথরের উপর পড়েছে এবং আপনি শেষে এক্সিডেন্টে এ ষিকার।
এটা প্রতিরোধ করার জন্য আপনার প্রথমে যেটা উচিৎ সেটা হল আপনার বাইক নিয়ে একটু আস্তে দেখেশুনে কর্নারে যাওয়া। প্রথমে রোডে কোন ভাঙা বা কোন উচু কোন পাথরের বা অন্য কোন টুকরা আছে কীনা সেটা একটু খেয়াল করুন। আর কোন কন্যৃারে প্রবেশ করার আগে স্লোলি এবং কর্নারের ফুল ভিউ পাওয়ার পর স্পিড আপ করুন।
কর্নারে খুব বেশী স্পিড থাকলে
একটা সমস্যা দেখা দেয় যখন আপনি কোন কর্নার কেমন তা না জেনেই বেশ স্পীডে কর্নারিং করতে যান। এসময় দেখা যায়কর্নারের রেডিয়াস অনেক ছোট এবং আপনাকে এসময় বেশ বিপদে পড়তে হয়। এমন পরিস্থিতিতে সবথেকে ভাল বুদ্ধি হল আপনার বাইকের পেছনের ব্রেকটি একটু চেপে ধরে কর্নারিং করা। ফলে , এমন পরিস্থিতিতে পড়লে আপনি সহজেই সেটা কন্ট্রোল করতে পারবেন। আর যদি দেখে থাকেন যে কর্নারিং এর ক্ষেত্রে আপনার আর এক্সিডেন্ট থেকে বাচার কোন উপায় নেই তাহলে আপনি বাইকটি যে স্পীডে ছিল সেই স্পীডেই বাইকটি বেশ একপাশে হেলিয়ে কর্নারিং করে যান। যদিও প্রাকটিস না থাকলে বিষয়টা আপনার কাছে একটা অসম্ভব বা বিপদজনক বলেমনে হবে। কিন্তু , বাইক বেশী স্পীডে থাকলে আপনি কম রেডিয়াস নিয়েই ভালভাবে কর্নারিং করতে পারেন। আপনি জাস্ট বাইকটি অনেকটা কাৎকরে কর্নারিং এর ক্ষেত্রে পার পেয়ে যেতে পারেন। আর এই সময় বাইক পড়ে গেলেও আপনার তেমন কোন ক্ষতি হবে না। এসময় আপনার হাটু মাটির সাথে লেগে যেতেই পারে। তবে ভয় পাবার কিছু নেই। এমন পরিস্থিতি থেকে বাচার একমাত্র পথ এটাই।
আপনার সামনে কোন কার লেন চেঞ্জ করলে
অনেক সময় কোন কার আপনার সামনে থেকে তার লেন চেঞ্জ করলে আপনি সেই কারের সাথে কলিশন করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি খুব সহজেই এই এক্সিডেন্ট এড়াতে পারেন।
জাস্ট সব কারের সিগন্যাল লাইটের দিকে একটু নজর রাখুন। কারের ড্র্রাইভারের চোখের দিকে নজর রাখতে চেষ্ট করুন। তাতে করেই আপনি অনেক কিছু বুঝতে পারবেন।
কোন কার আপনার পেছন থেকেও আঘাত করতে পারে
আপনি রাইডিং এর সময় হয়ত কোন কারণে হঠাৎ করে সাইড চেঞ্জ করলেন। এটা আপনার পেছনের ড্রাইভারে না দেখতেও পারেন। আর তখনই এই ধরণের কলিশনটা ঘটে থাকে। কারণ , আপনার পেছনের কারের ড্রাইভঅরের আপনার স্পীড সম্পর্কে আইডিয়া না থাকাটাই স্বাভাবিক।
এটার থেকে বাচার জন্য আপনার পেছনে কোন কার বা অন্য কোন যানবাহন আছে কীনা সেটা ভালভাবে লক্ষ্য করুন। অনেক যানবাহন থাকলে আরও বেশী সতর্ক হন। সাইড বা লেন চেঞ্জ করার আগে সিগন্যাল লাইট ইউজ করুন। ইমারজেন্সি সময়ে এটা করার সময় আপনি ব্রেক ইউজ করতে পারেন। বাইকটি বেশ স্লো করে এটা করলে আপনার এক্সিডেন্টের ঝুকি কমে যায়।
গ্রপ রাইডারের বোকামীর কারণে
গ্রুপ রাইডিং এর ক্ষেত্রে আপনার কোন গ্রুপ রাইডারে বোকামীর কারণে আপনি এক্সিডেন্ট করতে পারেন। কারণ , অনেকে আছেন যারা পেছনে কোন রাইডার কেমন স্পীডে আছে সেটা না বুঝে ষুনেই হঠাৎ করে ব্রেক করে। ফলে আপনারও ব্রেক করতে হয় আর সেটা না হলে ক্রাশ হয়ে থাকে।
এটা এড়ানোর জন্য আগে আপনার গ্রুপ রাইডারদের ভালভাবে প্রস্তুত করে নিন। এই সিম্পল টেকনিকগুলো সবাইকে জানিয়ে দিন এবং এভয়েড করার জন্য বলুন। সবথেকে ভাল হয় এমন আনাড়ি লোকের সাথে গ্রুপ রাইডিং এ না গেলে।
সামনের ব্রেক লক হয়ে গেলে
আপনাকে অনেক সময় হঠাৎ করে ব্রেক করতে হতেই পারে। আপনার সামনে কোন বস্তু হঠাৎ এসে পড়লে আপনার সেখানে ব্রেকিং ছাড়া উপায় নেই। আর এক্ষেত্রে সবথেকে যে ভুলটা হয়ে থাকে সেটা হল রাইডার বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই সামনের ব্রেক ধরে এবং অনেক সময় এটা সামনের চাকা লক করে দেয়।ফলে বাইকার ও বাইক দুটোই পড়ে যায়।
এটা থেকে বাচার সবথেকে ভাল উপায় হল ব্রেকিং টেকনিকগুলো খুব ভালভাবে শেখা। কখন , কোন পরিস্থিতিতে কেমনভাবে ব্রেক করতে হয় সেটা প্রাকটিস করুন। প্রাকটিসের কোন বিকল্প এখানে নেই। আর একবারে হার্ড ব্রেকিং না করে আস্তে আস্তে ব্রেক করুন। অর্থাৎ ব্রেক একবার ছেড়ে দিয়ে আবার করুন। এভাবে এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করা সম্ভব।
নেশাগ্রস্থ অবস্থায় রাইড করলে
আর একটা বিষয় যেটার জন্য অনেক বেশী বাইক এক্সিডেন্ট হয়ে থাকে। সেটা হল কোন নেশা করে যেমন ড্রিংক করার পর বাইক রাইড করলে একটা জরিপে দেখা গেছে যে আমেরিকায় বাইক এক্সিডেন্টের ৫০% ই ঘটে এই কারণে। তাই কোনপ্রকার নেশা করে বাইক চালাবেন না। এতে আপনার সহ অনেকেরই ক্ষতি হতে পারে।
এছাড়া হঠাৎ সামনের গাড়ি ব্রেক করলে, কিংবা আশপাশের কেউ হঠাৎ রাস্তায় চলে আসলেও দুর্ঘটনার কবলে পড়তে পারেন আপনি। এজন্য সতর্ক থাকার বিকল্প নেই। খেয়াল রাখুন সামনের গাড়ির গতিবিধি ও সিগন্যাল লাইট। খেয়াল রাখুন আশপাশের রাস্তার মানুষের গতিবিধিতেও।