‘ফলাফল পক্ষে নিতে আ’লীগের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন’
প্রকাশ: ২০১৫-১২-২৯ ১৪:৪০:৫৫
৩০ ডিসেম্বরের পৌরসভা নির্বাচনে ফলাফল পক্ষে নিতে আওয়ামী লীগ সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের হয়রানি, গ্রেফতার, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, কাফনের কাপড় পাঠানো, বাড়িতে বাড়িতে হামলা সবকিছুই করছে তারা।
মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ করেন।
নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাকে কুকীর্তির সঙ্গে তুলনা করে রিজভী বলেন, এই নির্বাচন কমিশন (ইসি) বিএনপির অভিযোগকে গতানুগতিক বলছে। অথচ এই ইসি আয়োজিত প্রত্যেকটি নির্বাচনে ভোট কারচুপি, ভোটের বাক্স ছিনতাই, বিএনপির প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও গ্রেফতারের ঘটনা ঘটেছে। পৌর নির্বাচনেও একই অবস্থা হচ্ছে। শাসকদলের গতানুগতিক আচরণ হচ্ছে- প্রতিপক্ষের নির্বাচনী অফিস ভাংচুর, আগুন, গাড়িবহরে গুলি ও ভাংচুর, বিএনপি, অন্যান্য বিরোধী দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর পোস্টার-ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা, হামলা, সহিংসতা- যা কমিশনের গতানুগতিক শৈথিল্যের কারণেই ঘটে এসেছে। এবারও কমিশন একই গতানুগতিক আচরণ করছে।
বিএনপির অভিযোগ মিথ্যা- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের এমন মন্তব্যের নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি মিথ্যার আশ্রয় নেয় না। আওয়ামী লীগই মিথ্যা কথা বলে।
তিনি বলেন, বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে পুলিশ ও র্যাবের অভিযান ও গণগ্রেফতারের ফলে সাধারণ ভোটারদের মনে ভয়ভীতি ঢুকছে। তাই তারা ভোটকেন্দ্রে যেতে ভয় পাচ্ছেন।
রিজভী বলেন, গত ২ দিন ধরে শ্রীপুর, ঝালকাঠী, নলছিটি, ঝিনাইদহ, মুন্সীগঞ্জ, বাকেরগঞ্জ, জামালপুর, বাগেরহাট, কুষ্টিয়া, মনিরামপুর, চুয়াডাঙ্গা, আলমডাঙ্গা, সিরাজগঞ্জ, যশোর, নড়াইল, পাথরঘাটা, সাতকানিয়া, বোরহানউদ্দিনসহ সারাদেশেই বিএনপির প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও বাড়িঘরে হামলা করা হচ্ছে। সাধারণ ভোটারদেরও ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। একই সঙ্গে প্রশাসনের পক্ষ থেকেও হয়রানি, গ্রেফতার ও বাড়িতে বাড়িতে অভিযান চালানো হচ্ছে।
বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে শাসকগোষ্ঠীর ‘খয়ের খাঁ’ মন্তব্য করে বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, নিজেদের লোকবল থাকার পরও ইসি ২৩৪টি পৌরসভার মধ্যে ১৭৫টিতে জনপ্রশাসন থেকে রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ দিয়েছে- যা ষড়যন্ত্রমূলক। কারণ জনপ্রশাসনের রিটার্নিং অফিসাররা নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মানতে চান না, শাসকদলের মন্ত্রী-এমপিদের কথাই বেশি শোনেন। কেননা তাদের হাতেই ট্রান্সফার, পোস্টিং, প্রমোশন নির্ভর করে কর্মকর্তাদের। এছাড়া নির্বাচনী এলাকাগুলো থেকে বিএনপি, অন্যান্য বিরোধী দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অসংখ্য অভিযোগ নির্বাচন কমিশনে অবহিত করা হয়েছে। কিন্তু কমিশন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা ছাড়া কার্যকর কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি।
এসব চক্রান্তকে নস্যাৎ করে দিয়ে সব আস্ফালন অগ্রাহ্য করে সাহসের সঙ্গে ভোটকেন্দ্রে যাওয়া, ভোট প্রদান ও ভোটের ফলাফল না পাওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রে অবস্থা করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।