পদ্মার চরে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন, খুশি চাষীরা

জেলা প্রতিনিধি আপডেট: ২০২০-১২-২৪ ১৯:০৭:০৩


রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পদ্মার চরে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। পাশাপাশি ভালো দাম পেয়ে খুশি চাষীরা।

বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) বাঘা উপজেলার দুর্গম পদ্মার চরের চকরাজাপুর এলাকায় কুয়াশা ভেদ করে শীতের সকালে পেঁয়াজ তুলতে ব্যস্ত বেশ কিছু নারী-পুরুষ। কেউ পেঁয়াজ ওঠাচ্ছে, আবার কেউ ছাঁটাই-বাছাই করছে।

গত বছর বন্যার পানি নামতে দেরি হওয়ায় দেরিতে রোপণ করতে হয়। তবে চলতি মৌসুমে বন্যার পানি আগে নেমে যাওয়ায় পেঁয়াজ আগাম রোপণ করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে পেঁয়াজের বাজার মূল্য ভালো পেয়ে খুশি চাষীরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল প্রায় ৩ হাজার হেক্টর। চাষ হয়েছে সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে উপজেলার দুর্গম পদ্মার চরাঞ্চলে। আগাম পেঁয়াজ চাষীরা ভালো ফলন ও বেশি দাম পাচ্ছেন। চরাঞ্চলের পেঁয়াজের গুণগতমান ভালো হওয়ায় বিভিন্ন এলাকা থেকে বাস ও ট্রাকযোগে পেঁয়াজ কিনতে আসেন ব্যবসায়ীরা। পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর চরের পেঁয়াজ চাষী বাবলু দেওয়ান ও আকছেদ আলী শিকদার জানান, এবার পদ্মার পানি আগে নেমে যাওয়ার কারণে চলতি মৌসুমে আগাম পেঁয়াজ চাষ করে ফলন ভালো হয়েছে। পাশাপাশি দামও ভালো পাওয়া যাচ্ছে। ভারত থেকে কোনো এলসি না আসায় এখন পর্যন্ত পেঁয়াজের বাজার সন্তোষজনক রয়েছে। চকরাজাপুর চরের পেঁয়াজ চাষী গোলাম মোস্তফা জানান, গত বছর ৫ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করে বাজার মূল্য পেয়েছিলেন ৩৫-৪০ টাকা প্রতি কেজি। কিন্তু এবার জমি থেকে ৪২ টাকা প্রতি কেজি দরে ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন পাইকাররা।

উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, এ বছর উপজেলায় সর্বত্রই কম-বেশি পেঁয়াজের চাষ হয়েছে। উপজেলার বেশি পেঁয়াজ উৎপন্ন হয় পদ্মার চরে। পেঁয়াজ চাষীদের সব সময় পরামর্শ দেয়া হয়।

 

সানবিডি/নাজমুল