ইংলিশ মিডিয়ামে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস অন্তর্ভুক্তি জরুরি
প্রকাশ: ২০১৫-১২-৩১ ১২:৩৫:১৯
ইংরেজি মাধ্যমের সিলেবাসে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস অন্তর্ভুক্তি জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) গণভবনে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী (পিএসসি) এবং জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফলাফলের অনুলিপি গ্রহণ ও বই উৎসব ঘোষণার পর প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘নতুন বছরে ভর্তিসহ অন্যান্য খরচ রয়েছে। বছরের শুরুতে পিতা-মাতার ওপর যাতে বেশি চাপ না পড়ে সে জন্য বই প্রদানের দায়িত্বটা আওয়ামী লীগ সরকার নিয়েছে।’
বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে শিক্ষাখাত এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের পর বিধ্বস্ত বাংলাদেশে প্রথম যে সংবিধান প্রণয়ন করেছেন জাতির পিতা, সেখানে শিক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। তখন ৩৭ হাজার স্কুলকে জাতীয়করণ করার মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার মূল ভিত্তিটা গড়ে দেয়া হয়েছিল।’
‘প্রথম যখন ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসি তখন স্বাক্ষরতা মানে নাম লিখতে পারে এমন মানুষের শতকরা হার ছিল মাত্র ৪৫ শতাংশ। আমরা শিক্ষাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। আমরা চেয়েছি শিক্ষিত জাতি গঠন করতে। তখন আমরা এক কক্ষবিশিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে তিন কক্ষে উন্নত করি। ৬০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দিই। যেখানে অধিকাংশই ছিল মহিলা শিক্ষিকা। যারা নিজের এলাকায় থেকে শিক্ষা প্রদান করতে পারবে’, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের সরকার সবচেয়ে বেশি ব্যয় করছে শিক্ষায়। আমাদের সামর্থ্য থাকলে সব শিক্ষাকে অবৈতনিক করে দিতাম। আমরা চাই কোনো শিক্ষার্থী যাতে পড়াশোনা থেকে বঞ্চিত না হয়।’
‘আমরা ২৬ হাজার নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করেছি। ১লাখ ৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছি। আমারা উপবৃত্তির ব্যবস্থা করেছি। বর্তমানে ১ কোটি ২৮ লাখ শিক্ষার্থী বৃত্তি সুবিধা পাচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা প্রাথমিক স্কুল শিক্ষা ট্রাস্ট গঠন করেছি। সেই ফান্ডে আমরা ১০০০ কোটি টাকার অনুদান দিয়েছি।’
এর আগে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী (পিএসসি) এবং জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফলাফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ফলাফল হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। প্রাথমিক ও এবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফল প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান। এ সময় পাঠ্যপুস্তক উৎসবেরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।