আমিন জুয়েলার্স সম্মাননা পাচ্ছেন রাজ্জাক ও হুমায়ূন

প্রকাশ: ২০১৫-১২-৩১ ১২:৩৯:২৬


Razzk-largব্যবসায়ের ৫০ বছর পূর্তি হলো বাংলাদেশের স্বনামধন্য ও ঐতিহ্যবাহী জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান আমিন জুয়েলার্স লিমিটেডের। এই উপলক্ষে আগামি ২ জানুয়ারি, শনিবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেমে বর্নাঢ্য, আলোকোজ্জ্বল এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

সেখানে নাচ-গান আর ঝাঁকজমক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে গুনীজনদের সম্মাননা জানানো হবে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ঢাকাই ছবির জীবন্ত কিংবদন্তি অভিনেতা নায়ক রাজ রাজ্জাক ও বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় কিংবদন্তি লেখক হুমায়ূন আহমেদসহ নানা অঙ্গনের প্রায় ২৭ গুনীজনকে দেয়া হবে সম্মাননা।

আরো জানা গেছে, দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের এই মিলনমেলায় থাকছে তারকাদ্যুতিও। এতে পারফর্ম করবেন শোবিজ ও সংস্কৃতি অঙ্গণের তারকা শিল্পীরা। অনুষ্ঠান উপভোগ করবেন হাজার দুয়েক দর্শক।

জাঁকজমকপূর্ণ এই অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে থাকছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, আমিন জুয়েলার্সের চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সিরাজুল ইসলাম, জুরি বোর্ডের প্রধান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে একক সংগীত পরিবেশন করবেন রুনা লায়লা। তার আগে এম আর ওয়াসেকের কোরিওগ্রাফিতে দেশের গানের সঙ্গে নাচবেন অপি করিম। পাহাড়ি গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করবেন পাবর্ত্য অঞ্চল থেকে আসা নৃত্যশিল্পীরা। গান গাইবেন ইমরান এবং পড়শী।

খালেদ মাহমুদের কোরওিগ্রাফিতে নৃত্যে থাকবেন এক্সট্রিম ডান্স গ্রুপের শিল্পীরা। ‘রূপনগরের রাজকন্যা’ গানের সঙ্গে নাচবেন শখ। সঙ্গে থাকবেন এক ঝাঁক নৃত্যশিল্পী। এছাড়া গান গাইবেন প্রখ্যাত নজরুল সংগীত শিল্পী ফাতেমা তুজ জোহরা।

ইভেন্ট পার্টনার ড্রিম মার্চেন্টের স্বত্তাধিকারী ফারহানা লাকী জানান, ‘পুরো আয়োজনটি গুনীজনদের সম্মাননার হলেও দর্শকরা এখানে বৈচিত্রময় বিনোদন উপভোগের সুযোগ পাবেন। সেইসাথে গুনীজনদের উপর নির্মিত তথ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হবে।’

তিনি জানালেন, সকলের প্রবেশের জন্য অনুষ্ঠানের গেট খোলা হবে বিকেল ৪ টায়।

এদিকে জানা গেছে, তিন সদস্যের জুরি বোর্ড সম্মাননার জন্য গুণীজনদের বাছাই করেন। জুরি বোর্ড সদস্যরা হলেন ঢাকা বিশ্ববিধ্যালয়ে উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকী, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ড. শাসসুজ্জামান খান এবং জনপ্রিয় সাহিত্যিক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের অধ্যাপক ও সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।

সম্মাননা পাওয়া ২৭ গুণীজন হলেন আ ক ম যাকারিয়া (প্রত্নত্ত্ববিদ), অধ্যাপক আনিসুজ্জামান (শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবী), আশালতা বৈদ্য (মুক্তিযোদ্ধা), এ এম হারুন অর রশিদ (বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিদ), এ কে আজাদ খান (চিকিৎসক), কাঁকন বিবি (মুক্তিযোদ্ধা), জামিলুর রেজা চৌধুরী (পুরকৌশলী), তোফায়েল আহমেদ (রাজনীতিবিদ), তোয়াব খান (সাংবাদিক), দ্বিজেন শর্মা (প্রকৃতিবিদ), নূরজাহান বেগম (সাংবাদিক), প্রতিভা মুৎসুদ্দি (ভাষা সৈনিক), ফজলে হাসান আবেদ (সমাজকর্ম ও উন্নয়ন ব্যক্তিত্ব), মহাদেব সাহা (কবি ও সাংবাদিক), মুর্তজা বশীর (চিত্রশিল্পী), মুস্তাফা মনোয়ার (চিত্রশিল্পী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব), যতীন সরকার (চিন্তাবিদ ও লেখক), ব্যারিস্টার রফিক-উল হক (আইনজীবী), রাজ্জাক (অভিনেতা), রুনা লায়লা (সংগীতশিল্পী), সাইদা খানম (ফটো সাংবাদিক), সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী (শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবী), সুকুমার বড়ুয়া (ছড়াকার), সুধীন দাশ (নজরুল সংগীত শিল্পী), সৈয়দ শামসুল হক (কবি, নাট্যকার ও কথাসাহিত্যিক), হাসান আজিজুল হক (কথাসাহিত্যিক) এবং হুমায়ূন আহমেদ (কথা সাহিত্যিক- মরণোত্তর)।

সম্মাননা হিসেবে প্রত্যেকে পাবেন নগদ ৩ লাখ টাকা, ২ ভরি ওজনের স্বর্ণের মেডেল, সম্মাননা ক্রেস্ট এবং উত্তরীয়।