মানিকগঞ্জে গাজর চাষে বিপ্লব ঘটেছে!

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২১-০১-২৪ ১৬:০১:০১


মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় গাজর চাষে যেন বিপ্লব ঘটেছে। লাভজনক হওয়ায় দিন দিন কৃষকের মাঝে আগ্রহও বাড়ছে গাজর চাষে।

গাজর এ এলাকার প্রধান অর্থকারী ফসল হিসেবে পরিচিত । সারাদেশেই এই গাজরের চাহিদা রয়েছে। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে সীমিত আকারে রফতানিও হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে।

কৃষি অফিস ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সিংগাইর উপজেলায় গাজর চাষ শুরু হয় দুই দশক আগে। প্রথম দিকে শুধু মাত্র জয়মন্ডপ ইউনিয়নে স্বল্প পরিসরে এর চাষাবাদ শুরু হয়।

কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় ধীরে ধীরে গাজর চাষে আগ্রহ বাড়ে কৃষকদের। ছড়িয়ে পড়ে উপজেলার প্রায় সকল গ্রামে। গাজর চাষ করে অনেক পরিবারে এসেছে স্বচ্ছলতা। হয়েছে কর্মসংস্থানও।

উপজেলার জয়মন্টপ, কিটিংচর, লক্ষ্মীপুর, নীলটেক, মেদুলিয়া, ভাকুম, কানাইনগর, মোসলেমাবাদ, বিন্নাডাঙ্গী, চর দূর্গাপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের প্রায় ৬ হাজারেরও বেশি কৃষক গাজর চাষের সঙ্গে জড়িত।

গাজরচাষি কানাই লাল, আকবর ও রশিদের সাথে কথা হলে তারা জানান, অন্য ফসলের চেয়ে গাজর চাষ লাভজনক বেশি। মাত্র দুই থেকে আড়াই মাসে ফসল তোলা যায়। গাজর তুলে ধান চাষ করেন তারা। প্রতি হেক্টর জমিতে গাজর উৎপাদন হয় ১৮ থেকে ২০ টন।

খেতে থাকা অবস্থাতেই ব্যবসায়ীরা চাষিদের গাজর কিনে নেন। তাই গাজর তুলতে কোনো ঝক্কি ঝামেলা নেই কৃষকদের।

একইসঙ্গে ব্যবসায়ীদেরও গাজর তুলতে কোনো শ্রমিক লাগে না। কারণ গো-খাদ্যের জন্য গাজরের পাতার (উপরের অংশ) বেশ চাহিদা রয়েছে স্থানীয়দের কাছে। তাই গরুর খামারীরাই খেত থেকে গাজর তুলে দিয়ে পাতা নিয়ে যান।

স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবুবকর সিদ্দিক জানান, এ অঞ্চলে কিংঅরেন্স নামে হাইব্রিড গাজর বেশি ফলন হয়। এ বীজ জাপান থেকে আমদানি করা। প্রতি কেজি বীজ কৃষকদের কিনতে হয় ১২ হাজার টাকা করে। এক কেজি বীজ এক বিঘা জমিতে বপন করা যায়। প্রতি বিঘায় গাজর চাষে খরচ হয় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। লাভ থাকে প্রায় দ্বিগুণ।