কৃষকদের মাঝে জনপ্রিয়তা বাড়ছে স্কোয়াশ চাষের
জেলা প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০২১-০২-১৭ ১৫:১১:০৩
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে কৃষকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে দুবাইয়ের সবজি স্কোয়াশ চাষ। সবজিটির ফলন ভালো সেইসাথে বাজারে দামও মিলছে ভালো। বাজারে চাহিদা ও স্থানীয় কয়েকজন কৃষকের এতে সফলতার কারণে বর্তমানে অনেক কৃষকই ঝুঁকছেন এই স্কোয়াশ চাষে।
এব্যাপারে রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দির জাবরকোল গ্রামের আব্দুস সালাম মন্ডল বলেন, আমি দীর্ঘদিন দুবাই ছিলাম। সেখানে স্কোয়াশ খুবই জনপ্রিয় একটি সবজি। দুই বছর আগে আমি বাংলাদেশে ফেরার সময় ২৭৫ টাকায় এক প্যাকেট স্কোয়াশের বীজ নিয়ে আসি। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আলু ক্ষেতের মধ্যে কুমড়ার বীজের পাশাপাশি স্কোয়াশের বীজ রোপণ করি।
স্কোয়াশ বিক্রি নিয়ে প্রথম দিকে বেশ ভাবনা ছিল আমার। এটা কি বাজারে বিক্রি করতে পারবো নাকি পারবো না। প্রথম বছরে বাজারে নিয়ে বসে থাকতে হয়েছিল। কিন্তু এখন আর বাজারে নিয়ে বসে থাকতে হয় না। প্রতিটি স্কোয়াশ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা দরে।
তিনি আরও বলেন, স্কোয়াশ চর্চরি, ভাজি এবং সালাতসহ বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে খাওয়া যায়। এর স্বাদ অনেকটা লাউয়ের মতো। তবে গাছে ধরার এক সপ্তাহের মধ্যে খেলে খুব ভালো স্বাদ পাওয়া যায়। বেশিদিন রাখলে এর ভিতরে বীজ হয়ে যায়। যার ফলে অনেকাংশেই এর স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়।
আমার স্কোয়াশ চাষের এই সফলতা দেখে আগে ও বর্তমান সময়ে এ অঞ্চলের কৃষকরা এটি চাষে আগ্রহ প্রকাশ করে। আর বর্তমানে এর বীজের বেশ চাহিদা থাকার কারণে দুবাইয়ে থাকা বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করেছি কিছু বীজ পাঠানোর জন্য।
আমি প্রথমে ১০ শতাংশ জমিতে সমন্বিত চাষের মধ্যেই স্কোয়াশ চাষ করি। তাতে এ পর্যন্ত প্রায় ৩০-৩৫ হাজার টাকার স্কোয়াশ বিক্রি করেছি। বীজ উৎপাদনের জন্য কিছু স্কোয়াশ জমিতেই বড় করা হচ্ছে। এ থেকে যে বীজ হবে তা দিয়ে আশা করছি খুব স্বল্প সময়ে এটি চাষের পরিধি বাড়াবো।
এ ছাড়াও বর্তমানে জেলার জাবরকোল, সোনাপুর, দুবলাবাড়ী এলাকায়ও এই স্কোয়াশের চাষ হচ্ছে। আগের তুলনায় এখন বাজারে অনেক বেশি পরিমাণে স্কোয়াশ বিক্রি হচ্ছে।
বালিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি অফিসার সাখাওয়াত হোসেন বলেন, স্কোয়াশ এ অঞ্চলে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বাজারে চাহিদা থাকায় কৃষকরা এটা চাষে ঝুঁকছে। এখানকার আবহাওয়ার সাথে এটা চাষ যোগ্য একটি সবজি। এটা চাষের ব্যাপারে আমরা কৃষকদের সরকার প্রদত্ত সকল সুবিধা দেব।