ইয়েমেনে সরকার ও বিদ্রোহীদের সংঘর্ষে নিহত ৯০
আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ২০২১-০৩-০৭ ১৬:৫১:২৭
ইয়েমেনের সরকারি বাহিনী ও হুতি বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৯০ যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। সরকারি সূত্রের বরাতে বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, শনিবার ২৪ ঘণ্টায় এ রক্তপাতের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও এতে কয়েক ডজন লোক আহত হয়েছেন।
মারিব অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিতে গত মাসে অভিযান চালায় শিয়া বিদ্রোহীরা। এটি দেশটিতে সৌদি-নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট সমর্থিত সরকারি বাহিনীর হাতে থাকা সর্বশেষ ঘাঁটি।
সূত্র জানিয়েছে, তেল-সমৃদ্ধ প্রদেশটিতে সংঘর্ষে সরকারি বাহিনীর ৩২ যোদ্ধা নিহত হন। আর সৌদি জোটের বিমান হামলায় ৫৮ হুতি বিদ্রোহীর প্রাণহানি ঘটে।
মারিব শহরের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় কাসারা রণক্ষেত্রে হুতিরা অগ্রসর হতে পারলও সরকারি বাহিনী পাল্টা হামলা চালাতে সক্ষম হয়। অন্তত ছয়টি ফ্রন্টে দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক লড়াই হয়েছে।
মারিব অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ হারানো ইয়েমেনি সরকারের জন্য বড় ধাক্কা। এতে সাধারণ মানুষের জীবনে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ লড়াইয়ে হাজার হাজার অধিবাসী ঘরবাড়ি থেকে বিতাড়িত হয়েছেন। তারা মরুভূমির বিচ্ছিন্ন ক্যাম্পগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন।
হুতিদের এই অগ্রগতি প্রতিবেশী সৌদি আরবের জন্যও বিপত্তির কারণ হয়ে দেখা দেবে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে দেশটিতে প্রায়ই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে দেখা গেছে ইয়েমেনি বিদ্রোহীদের।
শুক্রবার হুতিদের নিক্ষেপ করা কয়েকটি ড্রোন সৌদি আটকে দিতে পারলেও তাদের দুজন নাগরিক আহত হয়েছেন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন গত সোমবার (১ মার্চ) হুথি বিদ্রোহীদের প্রতি মারিব অঞ্চলে আক্রমণ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। এক সহায়তা সম্মেলনে অংশ নিয়ে তিনি ইয়েমেনে ১৯১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তার ঘোষণা দেন।
ব্লিনকেন বলেন, শুধুমাত্র সহায়তা ইয়েমেনের সংঘাত বন্ধ করতে পারবে না। আমরা যুদ্ধ সমাপ্তের মাধ্যমে মানবিক সংকট বন্ধ করতে পারি। যুদ্ধ বন্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্র তাদের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা সচল করছে বলেও জানান তিনি।
মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধপীড়িত দেশ ইয়েমেনের মানবিক সংকট দূর করতে জাতিসংঘ বিশ্বের ১০০টি দেশের কাছে ৩.৮৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা চেয়েছে। তবে মাত্র ১.৭ বিলিয়ন ডলার সহায়তা উঠেছে। জাতিসংঘ বলছে, তাদের উল্লেখিত পরিমাণ সহায়তা না পেলে ইয়েমেনের দুর্ভিক্ষ রোধ করা সম্ভব হবে না।