নোয়াখালীতে গোলাগুলির ঘটনায় পুলিশের মামলা, আটক ২৮

জেলা প্রতিনিধি আপডেট: ২০২১-০৩-১০ ১৫:৩৭:২৬


নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় বসুরহাটে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, গোলাগুলি, পুলিশের কাজে বাধা ও হামলার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে আটককৃতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

বুধবার (১০ মার্চ) দুপুরে কোম্পানীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেন বাদী হয়ে ৯৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা একাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে এ মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে কোম্পানীগঞ্জ থানার কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনি জানান, বসুরহাট বাজারে আ.লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষের সময় সংঘর্ষকারীরা পুলিশের কাজে বাধা প্রদান করে। একই সময় তারা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে তিনিসহ (ওসি) বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে আহত করে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

এদিকে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় উপজেলা প্রশাসনের জারি করা ১৪৪ ধারা চলছে বসুরহাট পৌর এলাকায়। আজ বুধবার ভোর ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকবে বলে জানিয়েছেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জিয়াউল হক মীর। এর আগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি বসুরহাট পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল।

এর আগে মঙ্গলবার বিকেল থেকে আবদুল কাদের মির্জা ও মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের চলমান সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় আলা উদ্দিন (৪০) নামে এক যুবলীগ কর্মী নিহত হন। তিনি পেশায় সিএনজি চালক ছিলেন। নিহত মো. আলাউদ্দিন উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের চর কালি গ্রামের মমিনুল হকের ছেলে। তাকে নিজের সমর্থক বলে দাবী করেছেন মিজানুর রহমান বাদল।

সংঘর্ষে ওসি মীর জাহিদুল হক রনি ও চার পুলিশ সদস্যসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন। গুলিবিদ্ধ হন ১৩ জন। এদের মধ্যে জাকের হোসেন হৃদয় নামের একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ অপর ১১ জন নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আইন শৃঙ্খলার অবনতি হওয়ায় বুধবার ভোর ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত বসুরহাট পৌর এলাকায় ১৪৪ধারা জারি করে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন।