মেসির রেকর্ড ছোঁয়ার ম্যাচে বার্সার দাপুটে জয়
স্পোর্টস ডেস্ক প্রকাশ: ২০২১-০৩-১৬ ১৭:১১:২৯
বার্সেলোনার জার্সিতে এতদিন সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ডটি ছিল জাভি হার্নান্দেজের। হুয়েস্কার বিপক্ষে মাঠে নেমে এবার সেই রেকর্ড স্পর্শ করলেন লিওনেল মেসি। স্প্যানিশ লা লিগায় ঘরের মাঠে নজরকাড়া পারফরম্যান্সে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ড ছোঁয়ার রাতে আর্জেন্টাইন তারকা পেলেন জোড়া গোল, সতীর্থ দিয়ে করালেন আরেক গোল। মেসির এমন নৈপূণ্যে ওয়েস্কাকে উড়িয়ে পয়েন্টের দুই নম্বরে উঠে এলো বার্সেলোনা।
সোমবার (১৫ মার্চ) রাতে ন্যু ক্যাম্পে ওয়েস্কাকে ৪-১ গোলে হারিয়েছে কাতালানরা। এই জয়ে মেসির জোড়া এবং আঁতোয়ান গ্রিজমান ও অস্কার মিনগুয়েজ একটি করে গোল করেন। এ নিয়ে টানা ১৭ ম্যাচ অপরাজিত রইলো কোম্যানের দল। গত ৫ ডিসেম্বরের পর আর হারেনি তারা।
ম্যাচের ১৩তম মিনিটে লিওনেল মেসির গোলে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। প্রতিপক্ষের বাধা এড়িয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের জোরালো শটে গোলটি করেন আর্জেন্টাইন তারকা। ৩৫ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন গ্রিজমান। পেদ্রির বাড়ানো বল ধরে দূর থেকে জোরালো শটে লক্ষ্য ভেদ করেন এই ফরাসি ফরোয়ার্ড।
তবে বিরতিতে যাওয়ার আগে ওয়েস্কার রাফায়েল মির গোল করে ব্যবধান কমান। ডি বক্সে স্টেগেন ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। এই সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেননি স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড।
বিরতি থেকে ফিরেই বার্সেলোনাকে আরও এগিয়ে নেন অস্কার মিনগুয়েজ। মেসির দারুণ ক্রসে লাফিয়ে হেডে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন অস্কার।
নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে স্কোরলাইন ৪-১ করেন মেসি। ত্রিনকাওয়ের পাস থেকে বল পেয়ে দূর থেকে জালে জড়ান ছয়বারের বর্ষসেরা ফুটবলার। এই গোলে ক্লাবের ইতিহাসে জাভি এরনান্দেসের সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ড স্পর্শ করলেন মেসি। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে দুজনের ম্যাচ এখন ৭৬৭টি। রেকর্ড স্পর্শ করে ফেলায় পরের ম্যাচেই জাভিকে ছাড়িয়ে যেতে পারবেন মেসি।
অন্যদিকে লা লিগায় চলতি মৌসুমে মেসির গোল সংখ্যা দাঁড়াল ২০-এ। ইউরোপের প্রথম সারির লিগে একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে এ নিয়ে টানা ১৩ বার ২০ কিংবা তার অধিক গোল করলেন মেসি।
এই জয়ে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধান আরও কমেছে কাতালানদের। ২৭ ম্যাচ থেকে ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ রয়েছে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। সমান ম্যাচ থেকে ৫৯ পয়েন্ট নিয়ে বার্সেলোনা রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। আর ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ আছে তৃতীয় স্থানে।