ঠাকুরগাঁওয়ে রেশম কারখানার উন্নয়নকল্পে মতবিনিময় সভা
জেলা প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০২১-০৩-২২ ১৬:১১:৩৩
প্রায় ১৯ বছর পর ঠাকুরগাঁও রেশম কারখানা আবার চালু হতে যাচ্ছে। তবে সরকারিভাবে এই কারখানা চালু না করে বেসরকারি খাতে নির্দিষ্ট সময়ের লিজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিম।
২০০২ সালে লোকসানের অজুহাতে বিএনপি সরকার এই কারখানাটি বন্ধ ঘোষণা করে। ২০০৮ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বেশ কয়েকবার কারখানাটি চালুর আশ্বাস দেওয়া হয়। এজন্য একাধিকবার সংসদ সদস্যের নেতৃত্বে বিভিন্ন পরিদর্শক টিম সম্ভাব্যতা যাঁচাইয়ের জন্য এখানে আসেন। কিন্তু কারখানাটি আর চালু হয়নি। ফলে এই অঞ্চলের ৬ হাজারেরও বেশি রেশম চাষি রেশম চাষ ছেড়ে অন্য পেশায় চলে যায়। তবে সীমিত সংখ্যক রেশম চাষি এখনও রেশম উৎপন্ন করে ও ঠাকুরগাঁও রেশম বোর্ড ও এনজিও’র কাছে উৎপাদিত রেশম গুটি বিক্রি করে। তারা বিভিন্ন সময় বন্ধ থাকা রেশম কারখানাটি সরকারিভাবে সম্ভব না হলে বেসরকারিভাবে চালুর দাবি জানায়। বর্তমানে সরকার কারখানাটি চালুর ব্যাপারে নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
২২ মার্চ সোমবার দুপুরে এব্যাপারে জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে রেশম জন্য উন্নয়নকল্পে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জেলা প্রশাসক ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিমের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, প্রধান অতিথি আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের উপ সচিব মো. আব্দুল হাকিম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নুর কুতুবুল আলম, জেলা আ’লীগের সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহাবুবুর রহমান বাবলু, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায়, পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম বন্যা, ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী, রেশম কারাখানার ঠাকুরগাঁও জোনাল কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুলতান আলী, চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির পরিচালক মামুন অর রশিদ প্রমুখ।
সভায় রেশম কারাখানাটি লীজ হিসেবে ৫ বছরের জন্য ব্যক্তিখাতে প্রদান করা হবে বলে জানানো হয়। তবে স্থানীয় আগ্রহী লীজ গ্রহনকারীগণ সময়সীমা ৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছরের জন্য করার দাবি জানান।