দিনাজপুরে লোহার খনির সন্ধান

জেলা প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০২১-০৩-২৫ ১৫:৪১:৫৭


দিনাজপুরে নতুন লোহার খনির সন্ধান পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেছেন, এ অঞ্চলের মাটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ২০০১ সালে নিশ্চিত হয়েছেন লৌহখনিজ পদার্থ রয়েছে। বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর-জিএসবি খনির অবস্থান চিহ্নিত করেছেন। চলতি বছরের ১২ মার্চ সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য অনুসন্ধানী দল কাজে লেগে পড়েছেন। দিনরাত কাজ করছেন টেকনিশিয়ান এবং শ্রমিকরা।

জানা গেছে, দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার ১০নং পুনট্রি ইউনিয়নের কেশবপুর মৌজায় এ খনির অবস্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। এরই মধ্যে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে কূপ খননের কাজেও নেমেছে একটি অনুসন্ধানী দল। প্রথম তিন মাস কূপ খনন করে চালানো হবে। এরপর খনিজ সম্পদের অনুসন্ধান কাজ শুরু হবে।

এরই শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে সেখানে। নতুন খনিতে লোহার কাঁচামাল আকরের পুরুত্ব অনেক বেশি। তাই লোহার সঙ্গে তামাসহ অন্যান্য মূল্যবান সম্পদ পাওয়ার আশাও করছেন তারা। প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ নিয়ে আসা হচ্ছে কেশবপুরে। সংরক্ষিত এলাকা হিসাবে সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে। আগামী এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে কুপ খনন কাজ উদ্বোধনের আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এলাকার বাসিন্দা কেবারউদ্দিন মোল্লার ২৪ শতাংশ ধানি জমিতে খনন কাজের সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে। কেবারউদ্দিন মোল্লা জানান, তাকে চলতি ইরি-বোরো মৌসুমের জমি চুকানী (চুক্তি) অনুযায়ী বাজার মূল্যে টাকা দেওয়া হয়েছে। দফতরের অনুসন্ধানী দল এরই মধ্যে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে কূপ খননের কাজেও নেমেছে। নতুন খনিতে লোহার কাঁচামাল আকরের পুরুত্ব অনেক বেশি। তাই লোহার সঙ্গে তামাসহ অন্যান্য মূল্যবান সম্পদ পাওয়ার আশাও করছেন তারা। খনন কাজের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ নিয়ে আসা হচ্ছে কেশবপুরে। সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে ১০নং পুনট্রি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. নুর-এ-কামাল জানান, বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের (ভূতত্ত্ব) পরিচালক মো. আবদুল আজিজ পাটোয়ারী স্বাক্ষরিত জেলা প্রশাসককে দেওয়া একটি চিঠির অনুলিপি পেয়েছেন তিনি।

চিঠিতে কেশবপুর এলাকায় জি ডি এইচ-৭৬/২১ কূপ খনন কার্যক্রমে বহিরঙ্গনে অবস্থানকালে কর্মকর্তাদের আনুষঙ্গিক সহায়তা, নিরাপত্তা, তথ্য ও উপাত্ত সরবরাহ, যাতায়াত,পথ প্রদর্শন প্রদানে সহযোগিতা করার অনুরোধ করা হয়েছে। এ চিঠি পুলিশ সুপার, চিরিরবন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, চিরিরবন্দর থানাকেও দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, কূপ খনন কাজে দলপ্রধান হিসাবে রয়েছেন উপ পরিচালক (ড্রিলিং প্রকৌশলী) মো. মাসুদ রানা। তার সঙ্গে রয়েছেন উপ পরিচালক (ড্রিলিং প্রকৌশলী) মো. নিহাজুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক (ড্রিলিং প্রকৌশলী) মো. নাজমুল হোসেন খান, সহকারী পরিচালক (ড্রিলিং প্রকৌশলী) মঞ্জুর আহমেদ এলাহী, ও সহকারী পরিচালক(ড্রিলিং প্রকৌশলী) মো. রোকনুজ্জামান।

সংশ্লিষ্ট দফতরের এক কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর-জিএসবির মহাপরিচালক ড. মো. শের আলী এই কূপ খনন কাজের উদ্বোধন করবেন। আগামী ২ এপ্রিল উদ্বোধন হওয়ার কথা রয়েছে। কূপ খনন কাজ চলছে। সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের ৩ থেকে ৪ মাস সময় লাগবে। জিএসবির অধীনে প্রকৌশলীসহ ১০ জন কর্মকর্তা এবং ২৩ টেকনিশিয়ান এবং ওয়ার্কার কাজ করছেন। কূপ খনন কাজে এ পর্যন্ত ড্রিলিং মেশিন,পাম্প, রিক পর্যায়ক্রমে আনা হচ্ছে।