১৩০০ গুলি ছুড়েছে পুলিশ

বায়তুল মোকাররমে সংঘর্ষে পুলিশের মামলায় আসামি ৭শ

নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০২১-০৩-২৮ ১৫:১৭:২২


ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে নামলে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় মুসল্লিদের।

শুক্রবার (২৬ মার্চ) জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররমে এ সংঘর্ষের ঘটনায় শনিবার (২৭ মার্চ) অজ্ঞাত ৫০০-৭০০ জনের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে।

মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়েছে, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ প্রায় ১৩০০ রাউন্ড গুলি ছুড়েছে। তবে মামলায় কারো নাম বা রাজনৈতিক পরিচয় উল্লেখ করেনি পুলিশ। পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে মামলায়।

রোববার (২৮ মার্চ) দুপুরে পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শামীম হোসেন মামলার বিষয়ে এসব তথ্য জানান। তিনি নিজেই এ মামলার বাদী।

তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদ ঘিরে শুক্রবার জুমার নামাজের পর সংঘর্ষের ঘটনায় অজ্ঞাত অন্তত ৫০০-৭০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলায় কারো নাম বা রাজনৈতিক পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট প্রায় ১৩০০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদ ঘিরে শুক্রবার জুমার নামাজের পর বেলা দেড়টা থেকে সাড়ে তিনটা পর্যন্ত এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় ধর্মভিত্তিক দলগুলোর নেতাকর্মীরা মসজিদের ভেতর আর আওয়ামী লীগ এবং তার সহযোগী সংগঠন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মসজিদের বাইরে অবস্থান নেন। তাদের সঙ্গে ছিলেন পুলিশের সদস্যরা। মসজিদের বাইরে থেকে তখন মোদিবিরোধী বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ।

শুক্রবারের ওই ঘটনার পর ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেছিলেন, আন্দোলনকারীরা মসজিদকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে। যেহেতু সকল মুসলিম ও মুসলমানদের তীর্থস্থান ও পবিত্র জায়গা হচ্ছে মসজিদ, সেহেতু পুলিশ মসজিদের পবিত্রতা রক্ষার্থে মসজিদের ভেতর প্রবেশ করেনি।

ডিসি মতিঝিল বলেন, পুলিশ আইনানুগভাবে তাদের প্রতিরোধ করে যাতে জান-মালের ক্ষয়-ক্ষতি না হয় ও আইন-শৃঙ্খলার অবনতি না হয়। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে এক পর্যায়ে পুলিশ রাবার বুলেট, টিয়ারসেল ছুড়ে তাদের নিবৃত করার চেষ্টা করে।

/এ এ