শরীয়তের দৃষ্টিতে হেফাজতি মাওলানারা মুরতাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২১-০৪-০৩ ১৬:২৬:১৮


শরীয়তের দৃষ্টিতে তাই হেফাজতি মাওলানারা সব মুরতাদ তাই হেফাজতে ইসলাম ও জামায়াতে ইসলামিকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ।

শনিবার (৩ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবে মানববন্ধনে এই দাবি জানান আওয়ামী ওলামা লীগ ও সমমনা ১৩ দলের নেতারা।

তারা বলেন, মোদির বিরোধিতা করতে গিয়ে হরতাল-সহিংসতা করে এবং পুলিশের উপর আঘাত করে ও জাতীয় সম্পদ নষ্ট করে হেফাজতিরা মুরতাদ হয়েছে। অনতিবিলম্বে হেফাজত ও জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে হবে।

আওয়ামী ওলামা লীগের দাবির মধ্যে আরও রয়েছে- ভারতে পবিত্র কুরআনের আয়াতের বিরুদ্ধে রিট করার প্রতিবাদে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তীব্র ও জোরালো ব্যবস্থা নিতে হবে। করোনা আতঙ্ক থেকে এবং করোনার নামে অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করার পায়তারা থেকে জনগণকে রক্ষা করা এবং করোনার নামে বিএনপি-জামায়াতের দুরভিসন্ধিমূলক প্রচারণার ফাঁদে সরকারকে পা না দেয়া।

অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে- মসজিদে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের রোজা অবস্থায় টিকা নেয়া জায়েজ ফতোয়া অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। মুজিববর্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১২ একর জায়গার উপর পৃথিবীর সর্বোচ্চ ১৫০ তলা মসজিদ নির্মাণ এবং ৭ মার্চের ভাষণের স্থানে সর্বোচ্চ মিনার তৈরি করা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী ওলামা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মাওলানা মুহম্মদ আখতার হোসাইন বোখারী, সাধারণ সম্পাদক কাজী মাওলানা মুহম্মদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদের সভাপতি হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সাত্তারসহ অন্যান্য নেতারা।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, দ্বীন ইসলামের দৃষ্টিতে হরতাল করা হারাম। আর হারামকে হালাল মনে করে করে বা হারাম কাজকে ইসলামি আন্দোলন বলে প্রচার করলে তারা মুরতাদ হয়ে যায়। শরীয়তের দৃষ্টিতে তাই হেফাজতি মাওলানারা সব মুরতাদ হয়ে গেছে। প্রকাশ্যে তওবা না করা পর্যন্ত তাদের পেছনে নামাজ হবে না। তারাবিহ ঈদের নামাজ কোনটাই হবে না। তারা মুসলমান বলে গণ্য হবেন না।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনা টিকা মাংসপেশিতে গ্রহণ করা হয় এবং তা সরাসরি খাদ্যনালী ও পাকস্থলীতে প্রবেশ করে না, তাই রমজান মাসে রোজাদার ব্যক্তি দিনের বেলায় শরীরে টিকা গ্রহণ করলে রোজা ভাঙবে না।

অথচ রোজা ভঙ্গের শর্ত হচ্ছে- রোজাদারের শরীরে কোনো কিছু প্রবেশ করা। টিকা, ইনজেকশন কিংবা ইনসুলিন নিলে সেই ওষুধ ভেতরে প্রবেশ করে এবং তা পাকস্থলীতে পৌঁছে যায়-এসব রোজা ভঙ্গের মূল কারণ বলেও মানববন্ধনে জানান বক্তারা।