দলীয় মনোনয়ন পেলেই জয় নিশ্চিত !
জেলা প্রতিনিধি আপডেট: ২০২১-০৪-০৭ ১২:৩৯:৩০
দলের মনোনয়ন পেলেই জয়- এমন মনোভাবের কারণে এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যা বেড়ে গেছে বলে জানা গেছে। গতকাল মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) মেলান্দহ উপজেলার ঘোষেরপাড়া ইউনিয়ন থেকেই ৮ জন দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছেন।
ফরম কিনেছেন যারা ১) মোঃ ওবায়দুর রহমান, ২) সাইদুল ইসলাম লিটু ৩) আতাউর রহমান আলতাব, ৪) মোঃ রুস্তম আলী ৫) বদিউজ্জামান ৬) আব্দুল মোতালেব ৭) আব্দুল মজিদ ৮) জাহাঙ্গীর আলম।
ভোট কিংবা ভোটার। প্রার্থীদের কাছে এখন দু’টিরই গুরুত্ব কম। দলীয় মনোনয়নই মুখ্য তাই উপজেলা থেকে জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আর্কষণে ব্যস্ত তারা। কারণ দলীয় মনোনয়ন পেলেই জয় নিশ্চিত এমন ধারণা অনেক প্রার্থীর। এমন বিশ্বাসে এখন রাত দিন প্রাণপণ ছুটছেন প্রার্থীরা।
জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার ঘোষেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দিনক্ষণ এখনো চুড়ান্ত না হলেও বসে নেই সম্ভাব্য প্রার্থীরা। শুরু হয়েছে প্রার্থীদের দলীয় মনোনয়ন যুদ্ধ। প্রার্থীদের কাছে এখন ভোটারদের চাইতে কদর বেড়েছে দলীয় নেতা ও স্থানীয় কর্মীদের। ভোটের আগে মনোনয়ন যুদ্ধে যিনি জয়ী হবেন তিনিই এগিয়ে থাকবেন এমনটিই মনে করছেন প্রার্থীরা।
প্রার্থীদের ছবি ও শুভেচ্ছা সংম্বলিত ব্যানার- ফেস্টুন আর বিলবোর্ড টানানো হয়েছে স্থানীয় হাট বাজারের লোক-সমাগম স্থলে। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে কথা বলে এবার মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যা বেশি হওয়ার পেছনে মোটাদাগে কিছু কারণ জানা গেছে। এর মধ্যে তিনটি কারণ মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দিক থেকে।
যে কারণে প্রার্থীদের দৌড়ঝাপ : ১. অনেকেই ভাবছেন, এবারও একতরফা নির্বাচন হতে পারে। সে ক্ষেত্রে দলের মনোনয়ন পেলেই জয় নিশ্চিত। ২. কেউ কেউ মনে করছেন, মনোনয়ন ফরম কেনাটাও একটা বিনিয়োগ। ভবিষ্যতে দলের পদ পাওয়া কিংবা সরকার গঠনের পর সুযোগ-সুবিধা পেতে এটা সহায়ক হবে। ৩. দলীয় ফরম সংগ্রহ করা সবাইকেই দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মনোনয়ন বোর্ডে সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে।
সাবেক ছাত্রনেতাদের অনেকের মূল লক্ষ্য সাক্ষাৎকারে অংশ নেওয়া এবং এর মাধ্যমে দলীয় প্রধানের নজরে থাকার চেষ্টা।
এছাড়া প্রার্থীদের নিজেদের যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা নিয়ে তাদের স্বপ্ন ও প্রত্যাশা সংবলিত লিফলেট বিলি করেছেন কেউ কেউ। তবে প্রার্থীর তৎপরতা ভোটারকে ঘিরে নয়।
ভোটের মাঠে ঠিকে থাকতে দলীয় নেতাদের আশীর্বাদ পেতে প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ। কারণ দলীয় নেতারা খোশ হলেই দলের মনোনয়ন পাবেন। আর দলের মনোনয়ন পেলেই দলীয় ভোটও পাবেন। বিজয়ী হবেন এমনটি ধারণা প্রার্থীদের।