রংপুরে টিসিবি ও ওএমএসে চালের জন্য ভিড় করছে নিম্ন আয়ের মানুষ

জেলা প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০২১-০৪-০৮ ১৮:১৯:২৬


রংপুরে টিসিবি ও ওএমএসে চালের জন্য ভিড় করছে নিম্ন আয়ের মানুষের। অনেকে লাইনে দাড়িয়ে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও খালি হাতে ফিরে যাচ্ছে। পণ্য কিনতে আসা ক্রেরা বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবী জানিয়েছেন। রংপুর রবার্টসনগঞ্জ এলাকায় দেখা যায়- ওএমএসের দোকান খুলবে সকাল ৯টায়, কিন্তু ভোরে দোকানের সামনে লাইন করেছেন শত শত নারী-পুরুষ ।

বাজারে চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেশি হওয়ায় ওএমএসের দোকান ও টিসিবির পণ্য কিনতে ভীড় করছেন এসব নিম্ন আয়ের মানুষেরা। নিম্নবিত্তদের পাশাপাশি মধ্যবিত্তরাও ভিড় করছে ওএমএসের লাইনে। ওএমএসর চাউল কিনতে সত্তর বছরের আলতা বেগম জানান, ছেলে-মেয়ে নেই। কোন রকমে চলে তাঁর জীবন। বাজারে সব কিছুর দাম বেশি। তাই কম দামে চাল কিনতে এসেছেন।

পাটবাড়ির সুমনা বেগম জানান, সকালে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছি। পরে এলে লাইনের প্রথম দিকে জায়গা পাওয়া যায় না। এত বেশি লোক লাইনে দাঁড়ায় যে অর্ধেককেই খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হয়। তারা বরাদ্দ ও কার্যক্রমের বাড়ানোর দাবি জানান।

সুমানা বেগম জানান, বাজারে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি হচ্ছে। পরিবারের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ। তাই সকালেই কম দামে চাল বা আটা কিনতে ওএমএসের দোকানগুলোর সামনে ভিড় করেন তাঁরা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে পাঁচ কেজি চাল কিংবা আটা নিয়ে বাড়ি ফেরেন। বরাদ্দ কম থাকায় সবার ভাগ্যে এটুকুও জোটে না।

রংপুর সদও উপজেলা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অমুল্য রায় জানান, চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় খোলাবাজারে চাল ও আটা বিক্রি করছে খাদ্য বিভাগ। নগরীতে ৮৩ জন ডিলারের মাধ্যমে এগুলো বিক্রি হচ্ছে। খাদ্য বিভাগ প্রত্যেক ডিলারকে এক টন করে চাল ও আটা বরাদ্দ দিচ্ছে। একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ পাঁচ কেজি করে চাল বা আটা কিনতে পারে। চালের দাম ধরা হয়েছে ৩০ টাকা আর আটা বিক্রি হচ্ছে ১৮ টাকা কেজি দরে।

ডিলার রুবায়েত হোসেন জানান, একজন ডিলার প্রতিদিন ২০০ জনকে চাল বা আটা দিতে পারেন, কিন্তু সেখানে অন্তত ৫০০ জন উপস্থিত থাকে। এ কারণে অনেকে খালি হাতে বাড়ি ফেরে। এটা তাঁদের জন্য বিব্রতকর। খাদ্য নিয়ন্ত্রক জানান, ওএমএসের কার্যক্রমের প্রতি নিম্ন আয়ের লোকজনের আগ্রহ বেড়েছে। তাই বরাদ্দ ও বিস্তৃতি বাড়াতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ পাঠিয়েছেন।