সাত দিন বন্ধের কবলে পুঁজিবাজার

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২১-০৪-১২ ২০:৩১:১২


করোনায় লকডাউনের দ্বিতীয় ঢেওয়ে (১৪ থেকে ২১ এপ্রিল) দেশের পুঁজিবাজার সাত দিন বন্ধের কবলে পড়েছে। লকডাউন থেকে রক্ষা পেল না পুঁজিবাজার। এবারের সর্বাত্মক লকডাউনে বন্ধ হলো ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রমও। ব্যাংকের সাথে সঙ্গতি রেখে বন্ধ করা হলো পুঁজিবাজারের কার্যক্রম।

তবে ব্যাংক খোলার সাথে সাথে আবারও পুঁজিবাজারের কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন(বিএসইসি)।

এর আগে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষপটে বেশ কয়েটি নির্দেশনা দিয়ে গত ৩ মার্চ ‘লকডাউনের’ ঘোষণা দেয় সরকার। ওই ঘোষণা অনুযায়ী ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত লকডাউন কার্যকর ছিল। পরে এই ‘লকডাউন’ ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়।

তবে এই সময়ে ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম চলমান ছিলো। এরই আলোকে পুঁজিবাজারও চলমান রাখা হয়। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকাতে আগামী ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত কঠোর লকডাউনের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।

তবে এ সময়ে জেনারেল ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও বৈদেশিক বাণিজ্য কার্যক্রম পরিচালনা করা এডি শাখা ও নৌ, স্থল ও বিমান বন্দর এলাকার শাখাগুলো খোলা থাকবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম সানবিডিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, অথরাইজড ডিলার বা এডি শাখা ও নৌ, স্থল ও বিমান বন্দর এলাকার শাখাগুলোর কার্যক্রম চলমান থাকবে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট শাখার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কেন্দ্রীয় শাখার আইটি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোরে কার্যক্রম চলমান থাকবে।

ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ থাকার কারণে পুঁজিবাজারও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম সানবিডিকে বলেন, আমরা আগে থেকেই বলে আসছি, ব্যাংক খোলা থাকলে পুঁজিবাজার খোলা থাকবে। সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক বন্ধ ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এরই আলোকে আমরাও পুঁজিবাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু হওয়ার সাথে সাথেই পুঁজিবাজারের কার্যক্রম শুরু হবে। এর আগে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, করোনা সংক্রমণ যে হারে বাড়ছে তাতে করে মানুষকে ঘরে রাখা জরুরি। সবকিছু খোলা রেখে সেটা যেমন সম্ভব না, সব বন্ধ করলেও জীবন যাপন ব্যাহত হবে। সে কারণেই প্রয়োজন বিষয়টিকে ফোকাস করা হয়েছে। অতি প্রয়োজন ছাড়া এসময় কোনওভাবেই ঘর ত্যাগ না করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

২০২০ সালের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম কারো মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর মহামারি নিয়ন্ত্রণে গত বছরের ২৩ মার্চ প্রথমবারের মত ‘সাধারণ ছুটির’ ঘোষণা দেয় সরকার। শুরুতে গত বছরের ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ‘ছুটি’ ঘোষণা হলেও পরে তার মেয়াদ বাড়ে কয়েক দফা। টানা ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটি শেষ হয় গত বছরের ৩০ মে।