একা সেতু দাঁড়িয়ে আছে খোলা মাঠে

জেলা প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০২১-০৪-২২ ১৫:০৯:০০


একা একটি সেতু দাড়িয়ে আছে খোলা মাঠের মাঝখানে। পাশে আল পথে মানুষের চলাচল। জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার গোল ডোবা খালের ওপর নির্মিত পাকা সেতুটি এলাকাবাসীর কোনো কাজে আসছে না।

প্রায় ২৫ বছর আগে জনস্বার্থে গ্রামীণ মাটির সড়কে নির্মাণ করা হয়েছিলো একটি সেতু। কিন্তু তারপর থেকেই ওই সড়কটি যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে পরে। ফলে একটি গ্রামের মানুষজনদের এখন প্রায় ১ কিলোমিটার পথ ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে।

মেলান্দহ উপজেলার ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের ঘোষেরপাড়ায় দেখা মেলে সেতুটির। মূলত নির্মাণের পর সেতুর সংযোগ সড়কে মাটি ভরাট না করায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মেলান্দহ উপজেলার ঘোষেরপাড়া গ্রাম থেকে ঘোষেরপাড়া-পূর্ব ছবিলাপুর পাকা সড়কে উঠার সংযোগ সড়কটি হল ওই গ্রামের কামরুলের বাড়ি থেকে আমজাদের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার এই মাটির সড়ক।

এই সড়ক দিয়েই ঘোষেরপাড়া গ্রামের মানুষ চলাচল করতেন। প্রায় ২৫ বছর আগে আশপাশের কৃষি জমির পানি নিষ্কাশনের জন্য কাঁচা সড়কে এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু সেতু নির্মাণের ২৫ বছর পেরিয়ে গেলেও সংযোগ সড়কের মাটি ভরাট করা হয়নি। ফলে এটি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে।

ঘোষেরপাড়া গ্রামের মনির মিলিটারি বলেন, স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে একাধিকার অবগত করলেও এই সংযোগ সড়কের সেতুটিতে মাটি ভরাট করা হচ্ছে না। ফলে এই গ্রামের লোকজনদের প্রায় এক কিলোমিটার পথ ঘুওে মেলান্দহ উপজেলা শহরে যাতায়াত করতে হচ্ছে।

একই গ্রামের কৃষক লুৎফর রহমান বলেন, সেতুর সংযোগ সড়কে মাটি ভরাট না করায় এ পথে চলাচল করতে পারছি না। এলাকার শত শত মানুষকে বিকল্প সড়ক ঘুরে চলাচল করতে হচ্ছে। ফলে আমরা নানা ধরণের দুর্ভোগে পড়েছি। সড়কে মাটি ভরাট করা হলে মানুষের কষ্ট অনেকটাই লাঘব হবে।

শিক্ষার্থী সাইদুর ইসলাম বাবু বলেন, আমি ছোটবেলা থেকেই দেখছি ব্রীজটির এই অবস্থা। বর্ষাকাল আর বন্যার সময় আমাদের স্কুল কলেজে যেতে অনেক অসুবিধা হয়। অনেক সময় জরুরি কোনো রোগী নিয়ে যেতে পাওে না মানুষ। দ্রুত সময়ে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করলে আমাদের দুর্ভোগ লাগব হবে এমনটাই দাবি এলাকাবাসীর।

ঘোষেরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান বলেন, আগে থেকেই সেখানে কোনো রাস্তা ছিলো না। সেতু নির্মাণের আগে থেকেই সড়কটি দিয়ে মানুষজনের চলাচল ছিল না। পাশের পাকা সড়ক দিয়েই চলাচল করেন এলাকাবাসী। তারপরও এখানে সেতু নির্মাণ করা হয়। সেতুটি নির্মাণে সাধারণ মানুষের একটু কাজে আসেনি।

মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তামিম আল ইয়ামিন জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।