চাহিদা কম,তাই কমেছে সবজির দাম
সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২১-০৪-২৩ ১৬:২১:২১
লকডাউন ও রোজার শুরুতে মানুষ কেনাকাটা বেশি করায় বেড়েছিল সব ধরনের সবজির দাম। তবে এখন আগের তুলনায় দাম কিছুটা কমেছে। বিক্রেতারা বলছেন, চাহিদা কমে গেছে, তাই দামও কমেছে। তবে এখনও অধিকাংশ সবজির দাম হাতের নাগালের বাইরে। স্বস্তি কেবল মুরগিতে।
আজ শুক্রবার রাজধানীর মুগদা ও বাসাবো এলাকার বিভিন্ন বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
মুগদার সবজি বিক্রেতা মিজান বলেন, গত সপ্তাহের সঙ্গে তুলনা করলে সবজির দাম কমেছে। গত সপ্তাহে বেগুন বিক্রি করেছি ৭০ থেকে ৮০ টাকা। আজ প্রতিকেজি বেগুন ৬০ টাকা। শসা এখন দুই ধরনের- একটা ৫০ টাকা কেজি, আরেকটা ৬০ টাকা। গত সপ্তাহে বিক্রি করেছি ৭০ টাকায়। এরকম বেশিরভাগ সবজির দামই কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা কমেছে।
এছাড়া বাজারে প্রতিকেজি পটোল, ঢ্যাঁড়স, ঝিঙে, চিচিঙ্গা ও ধুন্দল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি। কচুর লতি, বরবটি ও করলা বিক্রি করছে ৬০ টাকায়। পেঁপে ৪০ টাকা কেজি, টমেটো ৩০ থেকে ৪০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, আলু ২০ টাকা। লাউ ও চালকুমড়া আকার ভেদে ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি করেছেন ব্যবসায়ীরা। লেবু হালিপ্রতি আকার ভেদে ২০ থেক ৪০ টাকা। কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি, ধনে পাতা ও পুদিনা পাতা ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকা। পুঁইশাক, লাউশাক, কলমীশাক, ডাঁটাশাক, লালশাক ও পাটশাকের আটি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকায়।
বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। মো. সোহাগ নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, রোজার আগে দাম বেশি ছিল। কেজি ১৭০ টাকাও বিক্রি করছি। এখন সব বন্ধ। হোটেল রেস্টুরেন্টও আগের মতো খুলতে পারে না; তাই চাহিদা কম। আজ ব্রয়লার ১৩০ টাকা। সোনালিকা (কক) ২৫০ টাকা, লেয়ার (লাল) ২০০ থেকে ২১০ টাকা কেজি বিক্রি করছি।
মুগদা বাজারে মুরগি কিনতে আসা বেলাল নামের এক ক্রেতা জানান, সব কিছুর দামই চড়া। ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই। মাছের দামও বেশি। তবে এখন মুরগির দাম একটু কম, এটাই স্বস্তি।
শুক্রবার মুগদা এলাকায় গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকায় আর খাসির মাংসের কেজি ৮৫০ টাকা। প্রতিহালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ২৮ থেকে ৩০ টাকায়।
এদিকে আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে মাছ। শুক্রবার প্রতি কেজি রুই, কাতলা ২৫০-৩৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০-১৬০, আইড় ৪০০-৫০০ টাকা, মেনি মাছ ৩০০-৩৫০, বাইলা মাছ প্রকার ভেদে ২৫০-৪০০ টাকা, বাইন মাছ ৩০০-৪০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৬০০-৮০০ টাকা, পুঁটি ২৮০-৩০০ টাকা, পোয়া ৩০০-৪০০ টাকা, মলা ২৮০-৩৬০ টাকা, পাবদা ২৫০-৩৫০ টাকা, বোয়াল ৪০০-৫০০ টাকা, শিং ও দেশি মাগুর ৪০০-৫০০, শোল মাছ ৪০০-৫০০ টাকা, টাকি মাছ ৩০০ টাকা, পাঙ্গাস ১৩০-১৬০ টাকা, চাষের কৈ ১৫০-২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়।
মুদি ব্যবসায়ী আল-আমিন জানান, পেঁয়াজ আগের দামেই রয়েছে ৩৫ টাকা। দেশি আদা ও রসুন ৮০ টাকা এবং রসুন চায়না ১১০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ছোট দানার মসুর ডাল ১০০ টাকা এবং মোটা দানা ৭০ টাকা, মুগ ডাল ১২০ টাকা, মটর ডাল ১০০ টাকা, ছোলা ৭০ টাকা আর খেসারি ৮০ টাকা, ডাবরি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। এছাড়া অ্যাংকর ডালের বেসন ৬০ টাকা, বুটের ডালের বেসন ১০০ টাকা।
খুচরা বাজারে চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা। বোতলজাত সয়াবিন তেল কোম্পানি ভেদে বিক্রি হচ্ছে এক লিটার ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা এবং পাঁচ লিটার ৬৪০ থেকে ৬৬০ টাকা। প্রতি কেজি খুচরা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৩২ থেকে ১৩৫ টাকা আর পামওয়েল ১১০ থেকে ১১৫ টাকা।