মাদারীপুরে গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম

জেলা প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০২১-০৪-২৪ ১৫:২৭:০৫


মাদারীপুরে এবার ব্যাপক গম চাষ হয়েছে। চলতি বছর চাল ও আটার দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাবার ফলে জেলার চারটি উপজেলায় গমের আবাদ লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে।

মাদারীপুর জেলার বিভিন্ন হাট- বাজারে সরজমিন গিয়ে ব্যবসায়ীদের সাথে আলাপ করে জানাগেছে, গত চার মাসে আটার দাম ছয় বার রেড়েছে। বিগত চার মাস আগে বাজারে প্রতি কেজি আটার দাম ছিল ২২ টাকা । তারপর হঠাৎ করে দাম বৃদ্ধি পেতে পেতে এখন এক কেজি আটা ৩৩ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

আটার এ অস্বাভাবিক মূল্য বৃ্দ্ধির ফলে এখানকার কৃষকের মধ্য গম চাষের আগ্রহ সৃস্টি হয়। মাদারীপুর জেলা কৃষি অফিস সুএে জানাযায়, চলতি বছর জেলায় ৫৫৫৫ হেক্টর জমিতে গম আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।এরমধ্য মাদারীপুর সদর ১৭০০ হেক্টর, কালকিনি ৮০০ হেক্টর, রাজৈর ১৩০০ হেক্টর ও শিবচর উপজেলা ১৭৫৫ হেক্টর। তবে এ বছর আটা বা গমের প্রচুর চাহিদা থাকায় জেলায় গম চাষের লক্ষ্যমাএা অতিক্রম করে চুরান্তভাবে ৫৬৫০ হেক্টর জমিতে গম আবাদ হয়। জেলার বিভিন্ন এলাকায় এখন পাকা গম ঘরে তোলার ধূম পড়েছে।

মাদারীপুর সদর উপজেলার লক্ষীগঞ্জ গ্রামের গম চাষি আছমত বয়াতি (৭০) জানান, গম চাষে তেমন কোন খরচ নাই। একবার সেচ দিতে পারলে ভালো ফলন পাওয়া যায়।

সেচ দেওয়ার কারনে আমার জমিতে গমের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতি বিঘা (৬৩ শতাংশ ) জমিতে ১০ মন গম উৎপাদন হয়েছে। বাজারে বর্তমান প্রতি মন নতুন গম এক হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এই এলাকার কালাচাদঁ মুন্সী(৪০) এবার গম আবাদ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন। তারও বিঘা প্রতি ১০ মন করে গম উৎপাদন হয়।

মাদারীপুর শহরের একজন আটা ব্যবসায়ী জানান, খাদ্য হিসাবে আটার বহুমুখি ব্যবহারের কারনে প্রতি নিয়ত এর চাহিদা বাড়ছে। মাছের খামারে ও গরুর খামারে আটা ও এর ভূষি খুবই দরকারি। এছাড়া এ এলাকার প্রতিটি পরিবারের অনেক সদস্য রাতে ভাতের বদলে রুটি খেয়ে থাকে। তাছাড়া আটা দিয়ে বড়া, চলটা,সই পিঠা, কাটা পিঠাসহ বিভিন্ন ধরনের তেলের পিঠা তৈরি
হয়ে থাকে।

মাদারীপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, এবার জেলার চারটি উপজেলায় গমের বাম্পার উৎপাদন হয়েছে। বাজারে গমের দাম ভালো থাকায় কৃষকরা লাভবান হবে।