উদ্যোক্তাদের মেধাস্বত্ব সংরক্ষণে রেজিস্ট্রেশনের আহ্বান শিল্পমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২১-০৪-২৪ ২৩:১৩:০৪


শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এমপি বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের (এসএমই) মেধাস্বত্বকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় সংরক্ষণের জন্য রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। এসএমইখাতকে অর্থনৈতিকভাবে আরো সমৃদ্ধি ও টেকসই করতে এ খাতের উদ্যোক্তাদের মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ করতে হবে। এসএমইখাতসহ সকল শিল্প ক্ষেত্রের গুরুত্বারোপ করে নতুন পেটেন্ট আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এখন নতুন পেটেন্ট আইনের TRIPS চুক্তির সাথে মিল রেখে সাজানোর কাজ করছে। মেধাস্বত্ব একটি প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে বড় সম্পদ, বিশেষ করে এখন এসএমই খাতের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকার দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সৃজনশীল মেধাস্বত্ব সুরক্ষা ও সংরক্ষণে সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করে কাজ করছে।

বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের আইন অনুষদ আয়োজিত “Protection of IP Rights in Bangladesh with special reference to SMEs” শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন, প্রফেসর ড. মোঃ রহমত উল্লাহ এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের সম্মানিত বিচারপতি মোঃ আশরাফুল কামাল। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ তৌহিদুল ইসলাম। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আইপি কাউন্সিলর ফর সাউথ এশিয়া অফ দ্য ইউএস পেটেন্ট এন্ড ট্রেডমার্ক অফিসের ইউএসপিটিও, জন কাবেকা (John Cabeca), ডিপিডিটি’র রেজিস্ট্রার মোঃ আব্দুস সাত্তার, কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার জাফর রেজা চৌধুরী, WIPO এর আইপি ফর বিজনেস ডিভিশনের কাউন্সিলর ক্রিস্টোফার কালানজে (Christopher Kalanje), আইপি পলিসি এডভাইজর ফর সাউথ এশিয়া অফ দ্য ইউএস পেটেন্ট এন্ড ট্রেডমার্ক অফিসের (ইউএসপিটিও) সিনিয়র কমার্শিয়াল স্পেশালিষ্ট মিস শিল্পি ঝাঁ (Shilpi Jha)। অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের শিক্ষকগণের মেধাস্বত্ব আইনের উপর দক্ষতা কাজে লাগিয়ে একটি আইন অনুষদে মেধাস্বত্ব আইন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করতে পারে, যেখানে মেধাস্বত্বের উপর নানা ধরনের গবেষণা ও প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা থাকবে। তিনি আরো বলেন, আইন অনুষদ একটি টেকনোলজি ট্রান্সফার সেন্টারের মাধ্যমে আবিষ্কারক ও ইন্ডাস্ট্রির মাঝে সেতুবন্ধরূপের কাজ করে এর বাণিজ্যকীকরণসহ ফ্রাঞ্চায়, জিং, লাইসেন্সিং, রয়ালটি নিশ্চিতকরণ, মূল্য নির্ধারণ ও শুরুর জন্য তহবিল গঠনে সাহায্য করতে পারে। একটি রিয়েল টাইম মেধাস্বত্ব আইন ক্লিনিকের মাধ্যমে এসএমই-কে ব্রান্ড নিরাপত্তা, নকশা ও আবিষ্কার এবং মেধাস্বত্ব এর বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে যেমন- রেজিষ্ট্রেশনে সাহায্য করা কিংবা তাদের পক্ষে মামলা পরিচালনা করা ইত্যাদি। মেধাস্বত্ব অধিকার সংরক্ষণ ও সুরক্ষায় শিল্প মন্ত্রণালয় সম্ভব সব ধরণের নীতি সহায়তা দেবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিচারপতি জনাব মোঃ আশরাফুল কামাল বলেন, বাংলাদেশকে একটি শিল্পোন্নত দেশে পরিণত করতে হলে মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ করতে হবে। মেধাস্বত্ব সংরক্ষণের গুরুত্ব অনুধাবনে এসএমই উদ্যোক্তাদের মাঝে বেশি বেশি সভা সেমিনার মাধ্যমে সচেতনতামূলক কার্যক্রম প্রচার করতে হবে। একটি দেশের মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ যত শক্তিশালী হবে, সে দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ তত বেশি হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

উল্লেখ, আগামী ২৬ এপ্রিল বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস। ২০২১ সালের বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য : IP and SMEs: Taking you ideas to market.

সানবিডি/এএ