আইপিএলের খবর থাকবেনা ভারতের শীর্ষ গণমাধ্যমে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ২০২১-০৪-২৬ ১৫:১৩:০৬


শ্মশানে দিন-রাত জ্বলছে চিতা। করোনা রোগীরা অক্সিজেন সংকটে পড়ে রাস্তাতেই দম ফেলে দিচ্ছেন। আবার হাসপাতালে শয্যার সংকট।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের চাপে ভারতে পুরো ভারতজুড়ে এখন বিপর্যস্ত। প্রতিদিন সংক্রমণের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা।

এর মধ্যেই ভারতে চলছে আইপিএল উৎসব। চার-ছক্কার হৈহুল্লোড়ে চাপা পড়ছে মৃতের শোকের আর্তনাদ।

বিশালাকারের এ টুর্নামেন্টের শতাধিক ক্রিকেটার ও স্টাফকে জৈব-সুরক্ষা বলয়ে রাখায় আইসোলেশন সংকটে পড়েছে ভারত।

ক্রিকেটারদের জন্য বিভিন্ন হোটেল, স্টেডিয়ামজুড়ে জৈব-সুরক্ষা বলয়। তাতে নতুন কোনো আইসোলেশনও গড়া সম্ভব হচ্ছে না। হাসপাতালে বেড খালি না থাকায় রোগীদের ভর্তি করাতে পারছেন না স্বজনরা।

এমন করুণ পরিস্থিতিতে আইপিএলের খবর প্রচার না করার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির অন্যতম শীর্ষ গণমাধ্যম নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

গত রোববার নিজেদের সম্পাদকীয় পাতায় আইপিএলের খবর প্রচার না করার কথা জানিয়েছে গণমাধ্যমটি।

এ নিয়ে এক টুইটবার্তাও দিয়েছে তারা।

সম্পাদকীয় পাতায় গণমাধ্যমটি লিখেছে— ‘ভারতে করোনা মহামারির সবচেয়ে খারাপ অবস্থা চলছে। মানুষ তাদের জীবনরক্ষার জন্য লড়াই করে যাচ্ছে। এই বিপর্যয় সামাল দেওয়া চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রতিদিন করোনায় আক্রান্তের খবর দিয়ে যাচ্ছে। অক্সিজেনের অভাব এবং ওষুধের ঘাটতিসহ হাসপাতালগুলো শয্যার অভাবে নতুন রোগী ভর্তি করাতে পারছে না। এমন মর্মান্তিক সময়ে ভারতে ক্রিকেট উৎসব চলছে। জৈব-সুরক্ষা বলয় তৈরি করে খেলা চালানো হচ্ছে। কিন্তু সমস্যাটি খেলা নিয়ে নয়, সমস্যা ক্রিকেট খেলার সময়টা নিয়ে। এমন পরিস্থিতিতে ২৫ এপ্রিল থেকে আইপিএলের খবর প্রচার থেকে বিরত থাকবে নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। এটি আমাদের তরফ থেকে মানুষের জীবন ও মৃত্যুর বিষয়গুলোতে মনোযোগ দেওয়ার একটি ছোট প্রয়াস।’

প্রসঙ্গত, টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে প্রকাশ, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে সংক্রমণের আগের সব রেকর্ড ভেঙে গেছে। ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছে ৩ লাখ ৫২ হাজার ৯৯১ জন। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১ কোটি ৭৩ লাখ ১৩ হাজার ১৬৩ জনে।

এই সময় দেশটিতে ২ হাজার ৮১২ জনের মৃত্যুতে মোট প্রাণহানির সংখ্যা ১ লাখ ৯৫ হাজার ১২৩ জন।

শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত গত তিন দিনে ভারতে ১০ লাখের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাণহানি ঘটেছে সাড়ে সাত হাজারের বেশি।