কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে একই থোকয় ৩৮ লাউ

জেলা প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০২১-০৪-২৮ ১১:৫৮:৪৯


এবার কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে এক কৃষকের বাড়িতে লাগানো জাঙলায় একই থোকায় (গিটে) ৩৮ লাউ ধরেছে।এতে এলাকাবাসীসহ উপজেলা কৃষিবিভাগকে অবাক করে দিয়েছেন সেই কৃষক। তবে কৃষি বিভাগ লাউয়ের এরকম ফলনের ছবি ও তথ্য কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট এ প্রেরণ করেন বলে জানান; উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো:আসাদুজ্জামান।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই এ বিষয়ে আমরা জেনেছি, জিনগত সমস্যা বা অনিয়মিত ফলধারণে এরুপ হয়েছে। তবে আরও গবেষণা প্রয়োজন বলে জানান তিনি। এদিকে, জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের পূর্ব কেদার গ্রামের কৃষক আব্দুস সালামের বাড়ির পিছনে লাগানো লাউগাছের একটি গিটে (থোকায়) ছোট বড় মিলে ৩৮টি লাউ ধরার ঘটনায় উৎসুক জনতার ঢল দেখা যায়। কৃষক আব্দুস সালামের স্ত্রী জয়নব বেগম বলেন,আমি নিজে এ লাউ গাছ লাগাই।কিন্তু ধীরে ধীরে গাছ বড় ও পরিণত হলে প্রথম দফা এতে প্রায় ছোট বড় অর্ধশত লাউ ধরে।

আমরা নিজেরাও খেয়েছি এবং বিক্রিও করছি।তিনি বলেন,লাউ শেষ হলে ওই একটি থোকায় (গিটে) অসংখ্য ফুল পুনরায় আসে। সেই ফুল থেকে লাউ বেরিয়ে আসতে থাকে। এখন থোকার মতো করে লাউ ঝুলছে। এতগুলো লাউ আবার ধরবে ভাবতে পারিনি।এলাকাবাসীরা জানান, লোকমুখে শোনার পর লাউগুলো দেখতে ওই বাড়িতে বহু মানুষের আনাগোনা হয়। অনেকেই গুণে দেখেন, একটি গিটে ছোটবড় ৩৮টি লাউ ধরেছে যার ২৫টি লাউ তুলনামূলক একটু বড়।এ ব্যাপারে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.আসাদুজ্জামান জানান, আমি নিজে সরেজমিনে গিয়ে ওই লাউগুলো দেখেছি। প্রথম দিকে ৪০ টি লাউ ছিল।


এখন লাউ আছে ৩৫ টি। ৪ টি লাউ বড় এগুলোর ওজন ৫০০-৭০০ গ্রাম এবং ছোটগুলোর ওজন ৫০ গ্রাম,১০০ গ্রাম, ১৫০ গ্রাম ও ২০০ গ্রাম হবে।তবে তিনি বলেন,এখনও ঝোপার ভিতর থেকে ছোট ছোট লাউ হচ্ছে।অস্বাভাবিক এই ফলনের বিষয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য ছবি তুলে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তর ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটে পাঠানো হলে তারা ফলাফল জানান।

তিনি বলেন, জিনগত সমস্যা বা অনিয়মিত ফলধারণে এরুপ হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়। এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মঞ্জুরুল ইসলাম জানান,মূলত:জিনগত কারনে এরুপ হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।