১০ মে’র মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেড বাস্তবায়নের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২১-০৪-২৮ ১৩:১৩:৫১


দীর্ঘ আন্দোলনের পর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেড পেলেও তা এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে শিক্ষকরা বৈশাখী ভাতা পেয়েছেন পুরনো গ্রেডে। ঈদ বোনাস ১৩তম গ্রেডে পাবেন কি না তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় মে মাসের ১০ তারিখের মধ্যে এটি বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই)।

শিক্ষকরা জানান, ১৩তম গ্রেড আদায় হলেও মাঠপর্যায়ের সব প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেড বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে অনেক শিক্ষক আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। বিষয়টি অধিদফতরকে জানানোর পর আগামী ১০ মের মধ্যে এটি বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহাম্মদ মনসুরুল আলম।

মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত নির্দেশনায় বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতনস্কেল ২০২০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ১৩তম গ্রেডে উন্নীত করা হয়। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ‘আইবাস ++’ সংযুক্ত করা হয়। এরপর জেলা, উপজেলা ও ডিডিও আইডি থেকে বেতন নির্ধারণের সুযোগ প্রদান করা হয়।

সফটওয়ারে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রীর চেয়ে কম শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষকদের উন্নীত স্কেলের বেতন নির্ধারণের অপশন সংযোজনের জন্য আইবাস++ প্রকল্প দফতরকে পত্র দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তা সংযোজন করার উদ্যোগও গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু এরপরও মাঠ পর্যায়ে উপজেলা শিক্ষা অফিস শিক্ষকদের উন্নীত বেতনস্কেলে বেতন নির্ধারণ সম্পন্ন করেনি। এ কারণে উপজেলা শিক্ষা অফিস, জেলা শিক্ষা অফিস ও বিভাগীয় শিক্ষা অফিসের কর্মবণ্টন করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।

উপজেলা শিক্ষা অফিসের করণীয়
শিক্ষকদের নাম, বিদ্যালয়ের নাম, যোগদানের তারিখ, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, বর্তমান বেতনগ্রেড, রেকর্ডসহ ইত্যাদি প্রাপ্তি স্বীকার করে ২৮ এপ্রিলের মধ্যে উপজেলা/জেলা হিসাব রক্ষণ অফিসে পাঠাতে হবে।

হিসাবরক্ষণ অফিসকে ৫ মের মধ্যে এ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। এরপর কতজন শিক্ষক বেতনস্কেলে উন্নীত হয়েছেন, কতজন হননি বা কারো কোনো সমস্যা থাকলে প্রতিবেদন আকারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে ৬ মের মধ্যে পাঠাতে হবে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের করণীয়
উপজেলা শিক্ষা অফিসারের দেওয়া তথ্য সংকলন করে জেলাভিত্তিক প্রতিবেদন ৯ মের মধ্যে স্ব স্ব বিভাগীয় উপপরিচালকের কার্যালয়ে পাঠাতে হবে। এরপর জেলা ভিত্তিক বিস্তারিত প্রতিবেদন ১০ মের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালকের (অর্থ) কাছে পাঠাতে হবে।

এরপর ১৩তম গ্রেড নির্ধারণ যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করে পরিচালক (অর্থ) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ঠিকানায় হার্ডকপি বা সফটকপি বা ইমেইল করে ১০ মের মধ্যে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সানবিডি/এএ