বিজেএমসির বন্ধ মিল দ্রুত চালু হবে : বস্ত্রমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২১-০৪-২৯ ১০:০৭:৩২
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছেন, বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) বন্ধ থাকা মিলগুলো দ্রুততম সময়ে ভাড়াভিত্তিক/ইজারা পদ্ধতিতে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পুনরায় চালুর বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
বুধবার (২৮ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ের মাসিক সমন্বয় সভায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বিজ্ঞপ্তির আওতায় দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তারা লিজ গ্রহণের সুযোগ পাবেন। এক্ষেত্রে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগকে (এফডিআই) অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, পৃথিবীজুড়ে পাটের কদর ও চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় পাটচাষিরা বর্তমানে কাঁচা পাটের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন। চলতি পাট মৌসুমে কাঁচা পাটের গড়দর ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি। ফলে পাটচাষিরা এ মৌসুমে অধিক পরিমাণে পাট চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
তিনি বলেন, উৎপাদন বন্ধ থাকা ২৫টি মিলের মধ্যে চারটি মিলের (জাতীয়, খালিশপুর, দৌলতপুর ও কেএফডি) শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি ২০২০ সালের আগস্ট মাসে পরিশোধ করা হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত ও অবসায়নকৃত ৩৪ হাজার ৭৫৭ জন স্থায়ী শ্রমিকদের পাওনাদি ২ লাখ টাকার ঊর্ধ্বে পাওনার ক্ষেত্রে অর্ধেক নগদে ও অর্ধেক তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র ইস্যুর মাধ্যমে পরিশোধের সিদ্ধান্ত আছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২১টি মিলের সবগুলোতে নগদ অংশ পরিশোধের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে এ পর্যন্ত ১৭৬৯.৪১ কোটি টাকা পাওয়া গেছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, এখন পর্যন্ত ৩১ হাজার ৭৫৭ জন শ্রমিকের ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তরের মাধ্যমে ১৬৬২.১৭ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে, যা বরাদ্দের তুলনায় প্রায় ৯৩.৯৪ শতাংশ। মামলাজনিত সমস্যা, অডিট আপত্তিজনিত সমস্যা, শ্রমিকদের নামের সঙ্গে এনআইডির গরমিল, অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকদের ব্যাংক হিসাব না থাকার কারণে কিছু সংখ্যক শ্রমিকদের পাওনাদি পরিশোধ বিলম্বিত হচ্ছে।
সভায় জানানো হয়, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানি করে বাংলাদেশ ৯৫৩.৫৭ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে। এই অঙ্ক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২২.৯৪ শতাংশ বেশি। আর তা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ১০.৬৪ শতাংশ বেশি।
সভায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুল মান্নান, অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল কালামসহ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দফতর/সংস্থার প্রধানরা যুক্ত ছিলেন।
সানবিডি/এএ