রাজবাড়ীতে তরমুজের দাম ক্রেতাদের নাগালের বাইরে
জেলা প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০২১-০৫-০১ ১২:১২:২৯
বৈশাখের আকাশে উত্তাপ সূর্য। কাঠফাটা রোদ্দুরে তপ্ত বাতাস অতিষ্ঠ জনজীবন। একটু বৃষ্টির আশায় হাহাকার করছে মানুষ, অন্যদিকে মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারের কঠোর বিধিনিষেধ।
চলছে রমজান মাস, রোজাদারেরা ইফতারিতে ফল হিসাবে বেছে নিয়েছে তরমুজ। তবে তা ক্রেতার নাগালের বাইরে চলে গেছে।
বর্তমানে রাজবাড়ী জেলার বিভিন্ন বাজারে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৬০ থেকে ৭০ টাকা। সপ্তাহখানেক আগেও তরমুজের দাম ছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি।
তবে খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, সাইজ ভেদে তরমুজের দাম ভোক্তা পর্যায়ে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ অবস্থায় দেশের বিভিন্ন স্থানে কেজি দরে বেশি মূল্যে তরমুজ বিক্রির অপরাধে অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা আদায় করেছে প্রশাসন। তবে রাজবাড়ী জেলার বিভিন্ন স্থানে মনিটরিং ও যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তারা।
বাজার ঘুরে বিক্রেতা ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাজারে দুই ধরনের তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে। ৬ কেজির নিচে মাঝারি আকারের তরমুজের দাম হাঁকা হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি, আর ৬ কেজির ওপরের তরমুজের দাম চাওয়া হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি।
রাজবাড়ী বাসী মনে করেন, কেজি দরে বিক্রির কারণেই এমন দাম উঠেছে। এতো ভারী একটি ফল ছোট পরিবারের জন্য কিনতে গেলেও ৫ কেজির নিচে হয় না।
তবে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে জানা যায়, কৃষকের খেতে এবার তরমুজ ভালো হয়েছে। ৪ কেজি থেকে ৯ কেজি ওজনের তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে। কৃষকেরা বলছে ১০০ পিস তরমুজ ১৫ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ১৭ হাজার টাকা দরে বিক্রি করছেন তারা। প্রতি পিস তরমুজের দাম পড়ছে ১৫৫ থেকে ১৭০ টাকা।
তবে সেটা পাইকারি বাজারে ৪ থেকে ৬ কেজি ওজনের তরমুজ ১০০ পিস বিক্রি হচ্ছে ১২ হাজার থেকে ১৪ হাজার টাকায়। সেই হিসেবে তরমুজের পিস পড়ে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা। অথচ খুচরা পর্যায়ে সেই তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা থেকে ২৭০ টাকার বেশি দামে।
রাজবাড়ীতে খুচরা ফল বিক্রেতাদের মধ্যে অনেকেই বলেন, পিস এবং কেজি দু’ভাবেই তরমুজ বিক্রি করে থাকি। পিস হিসেবে তরমুজ বিক্রি করলে ক্রেতাদের দামে পোষায় না। যে কারণে ক্রেতারাই কেজি দরে কিনতে আগ্রহী হয়। সেক্ষেত্রে কি করবো। মাল তো বিক্রি করতেই হবে। তাই কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করি।
রাজবাড়ী ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মোঃ শরীফুল ইসলাম বলেন, বাজার তদারকি করা হয়েছে। জেলার ফল ব্যাবসায়ীদের নিয়ে অলোচনা করা হয়েছে, তারা আমাকে কথা দিয়েছে এখন থেকে তরমুজ পিচ হিসেবে বিক্রি করা হবে। আমি বর্তমানে জানতে পেয়েছি বাজারে তরমুজ পিচ হিসেবে বিক্রি হচ্ছে।