সৎ মাকে হত্যার অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে
জেলা প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০২১-০৫-০৫ ২১:০৭:৫৬
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে সৎ মাকে হত্যার পর বাড়ির পার্শ্বের আম বাগানে ফেলে রাখার অভিযোগ উঠেছে এক প্রাইমারি স্কুল শিক্ষক সোহেল রানার (৩৫) বিরুদ্ধে।
জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ০৫ মে বুধবার ভোরে উপজেলার বড়পলাশবাড়ী ইউনিয়নের দাড়িয়াবস্তীর বাদামবাড়িহাট সংলগ্ন গ্রামে একটি ছোট আমগাছের সাথে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ফিরোজা পারভীন আক্তার (৪০) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়।
বালিয়াডাঙ্গী থানা পুলিশ সরেজমিন তদন্ত সাপেক্ষে পারভীনের স্বামী ইসরাইল হোসেন (৫৫) ও তার ছেলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সোহেল রানা (২৭) কে আটক করেছে।
মৃত গৃহবধূ ফিরোজা পারভীন একই উপজেলার মহিষমারী গ্রামের আলহাজ্ব কাশেম আলীর কন্যা। মৃত পারভীনের বড় ভাই কলিম উদ্দীন মাস্টার জানান, আমার বোন পারভীনের আগের স্বামীর মৃত্যুর পর এক ছেলে সন্তানসহ বর্তমান স্বামী ইসরাইল হোসেনের সাথে বিয়ে হয়। এই বিয়ে হয় ১৩ বছর আগে।
কিন্তু বিয়ের শুরুতেই সংসারে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কলহ, মারপিট ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটত। এনিয়ে অনেক বার শালিস বৈঠক করা হয়েছে। আমরা খবর পেয়েছি, গত একসপ্তাহ যাবত আমার বোন ফিরোজা পারভীনকে শারীরিকভাবে পারপিট ও নির্যাতন করে আসছিল। রাতভর মারপিট ও নির্যাতন করে মেরে বুধবার ভোরে বাড়ীর পাশে একটি ছোট আমগাছে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে রাখে।
বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি হাবিবুল হক প্রধান জানান, গলায় দড়ি পেঁচিয়ে পারভীনের মৃত্যুর ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দু’জনকে আটক করা হয়েছে।
বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি হাবিবুল হক প্রধান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। বিয়ষটি তদন্ত করা হচ্ছে। রাণীশংকৈল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো.তোফাজ্জল হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।