ঈদে ইমিটেশন জুয়েলারি ব্যবসা জমজমাট

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২১-০৫-০৯ ১৫:১৫:৪৪


মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে সার্বিক ঈদ ব্যবসায় নেতিবাচক প্রবণতা দেখা দিলেও ইমিটেশন জুয়েলারির ব্যবসা বেশ জমজমাট হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন মার্কেটে থাকা ইমিটেশনের দোকানে ভিড় করে নারীরা তাদের পছন্দের জুয়েলারি কিনে নিচ্ছেন। মার্কেটের দোকানের পাশাপাশি ফুটপাতের ইমিটেশন জুয়েলারির দোকানেও ক্রেতাদের বেশ ভিড় দেখা যাচ্ছে।

রোববার রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গণপরিবহন চলাচল শুরুর পর মার্কেটে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। মার্কেটে আসা বেশিরভাগ নারীই হাত, কান, নাক অথবা গলার জুয়েলারি কিনছেন।

তারা বলছেন, ইমিটেশন জুয়েলারির দাম একদিকে কম, অন্যদিকে দেখতেও বেশ সুন্দর। এ কারণে হালের ফ্যাশনে ইমিটেশন জুয়েলারি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

খিলগাঁও তালতলা মার্কেট থেকে কানের দুল কেনা রুমানা বলেন, ৮০ টাকা দিয়ে একটা কানের দুল কিনেছি। এটা আমার খুব পছন্দ হয়েছে। স্বর্ণ দিয়ে এই দুল বানাতে গেলে ১০ হাজারেও পাওয়া যাবে না।

তিনি বলেন, এই দুল যেমন কম টাকায় পাওয়া যায়, তেমনি দেখতেও খুব সুন্দর। পরতেও খুব আরাম। এবারের ঈদে কোনো থ্রি-পিস কিনিনি। শুধু এই কানের দুল কিনলাম। আল্লাহ্ পরিস্থিতি ভালো করলে সামনে ভালো করে কেনাকাটা করবো।

মার্কেটটি থেকে কানের ও গলার অলঙ্কার কেনা মারিয়া বলেন, মার্কেট ঘুরে একটি থ্রি-পিস কিনেছি। সেটার সঙ্গে মিলিয়ে কানের দুল ও গলার হার কিনলাম। অল্প টাকাতেই ম্যাচিং জুয়েলারি কিনতে পারলাম।

তিনি বলেন, মডার্ন যুগে পোশাকের সঙ্গে ইমিটেশনের ম্যাচিং জুয়েলারি খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বেশিরভাগ মেয়েরাই এখন পোশাকের সঙ্গে ম্যাচিং করে জুয়েলারি কেনেন। এতে দেখতে অনেক সুন্দর দেখায়।

মার্কেটটিতে ইমিটেশন জুয়েলারির দোকান দিয়ে বসা নিলয় বলেন, হাত, কান, নাক, গলার সব গয়নায় এখন ইমিটেশনের হয়। নারীরা এই গয়না বেশ পছন্দ করেন। এখন মার্কেটে কেনাকাটা করতে আসা বেশিরভাগ তরুণীরা ম্যাচিং করে জুয়েলারি কিনছেন। বিশেষ করে কানের ও গলার জুয়েলারি বেশি বিক্রি হচ্ছে।

তিনি বলেন, করোনার কারণে এবার মার্কেটে ঈদের বিক্রি কম। তবে কয়েকদিন ধরে ক্রেতাদের আনাগোনা বেড়েছে। আমাদের ধারণা চাঁদ রাত পর্যন্ত ক্রেতাদের ভিড় থাকবে। মার্কেটে ক্রেতাদের আনাগোনা যত বাড়বে আমাদের বিক্রিও ভাল হবে।

তিনি আরও বলেন, ইমিটেশন জুয়েলারির চাহিদা সবসময় থাকে। তবে ঈদের সময় বিক্রি অনেক বেড়ে যায়। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় এবারের ঈদ কেন্দ্রিক বিক্রি কম। তারপরও যা বিক্রি হচ্ছে তাতে আমরা খুশি।

টিকাটুলির রাজধানী সুপার মার্কেটে গিয়েও ইমিটেশন জুয়েলারির দোকানে নারীদের বেশ ভিড় দেখা যায়। মার্কেটটির ব্যবসায়ী খাদেমুল বলেন, মার্কেট খোলার পর প্রথম দুই সপ্তাহ বিক্রিই ছিল না। তবে কয়েকদিন ধরে ভালো ক্রেতা আসছে। বিক্রিও ভালো হচ্ছে।

তিনি বলেন, মানুষ মার্কেটে আসলে আমাদের বিক্রি হবেই। তবে ঈদের আর এক সপ্তাহও বাকি নেই। এখন মার্কেট খোলার সময় একটু বাড়িয়ে দিলে আমাদের বিক্রি আরও ভালো হতো।

মার্কেটটি থেকে জুয়েলারি কেনা রাইছা বলেন, বছরে ঈদ বার বার আসে না। দুইটা ঈদ কিন্তু কোরবানি ঈদে পোশাক কেনা হয় না। গত বছর রোজার ঈদে কিনিনি। এবার না কিনলে কিভাবে হয়? তাই করোনা নিয়ে ভয় থাকলেও অল্পকিছু কেনাকাটা করতে আসলাম।

তিনি বলেন, দুটি থ্রি-পিস কিনেছি। এর সঙ্গে মিলিয়ে কানের ও গলার অলঙ্কার কিনেছি। সঙ্গে মাথার একটা কাঠি ও কাঁকড়া কিনেছি। অল্প টাকার মধ্যেই হয়ে গেছে।