সেশনজট এড়াতে অনলাইনে সেমিস্টার পরীক্ষা নিবে নোবিপ্রবি
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আপডেট: ২০২১-০৫-১০ ১৫:০২:৫৫
সেশনজট এড়াতে অনলাইনে সেমিস্টার পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা করছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) কর্তৃপক্ষ। ঈদের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিংয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানা গেছে।
গত ৮ মে (শনিবার) নোবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির (নোবিপ্রবিসাস) আয়োজিত ফেসবুক লাইভ অনুষ্ঠানে এবিষয়ে আলোচনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডের সদস্যরা।
নোবিপ্রবিসাসের সাধারণ সম্পাদক মাঈনুদ্দিন পাঠানের সঞ্চালনায় উক্ত লাইভ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফারুক উদ্দিন, প্রক্টর প্রফেসর ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর, ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সেলিম হোসেন ও আইআইএস-এর ডিরেক্টর প্রফেসর ড. ফিরোজ আহমেদ।
করোনা পরিস্থিতিতে সেশনজট এড়াতে ইউজিসি অনলাইনে পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সে অনুযায়ী নোবিপ্রবিতে অনলাইন পরীক্ষার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিংয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অতিথিরা।
অনলাইনে সেমিস্টার ফাইনাল নেয়ার পদ্ধতির বিষয়ে অতিথিরা বলেন, উন্নত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনলাইন পরীক্ষায় যে ধরনের পদ্ধতি অনুসরণ করা হয় আমরাও সেধরণের পদ্ধতি অনুসরণ করার চেষ্টা করবো। তবে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে কি ধরণের পদ্ধতি উপযুক্ত হবে এবিষয়ে মিটিংয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের শত ভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত, নেটওয়ার্ক ও ডিভাইস জনিত সমস্যা এড়াতে শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এছাড়াও লিখিত পরীক্ষার পাশাপাশি ব্যবহারিক ক্লাস-পরীক্ষার বিষয়েও একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এছাড়াও, শিক্ষার্থীদের অনলাইন পরীক্ষার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে বলেন বক্তারা।মূলত শিক্ষার্থীবান্ধব পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে অাশ্বস্ত করেছেন উপস্থিত অতিথিবৃন্দ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন সিদ্ধান্তে অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান শান্ত তার মতামত ব্যক্ত করে বলেন, নতুন পদ্ধতি নয়, আগের পরীক্ষিত পদ্ধতি ই হতে পারে অনলাইনে সেমিষ্টারের সমাধান। অনলাইন পরীক্ষা নেয়ার বিষয়টি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। সেখানে সবার জন্য একই সিদ্ধান্ত নেয়া এবং সেই সিদ্ধান্ত সবার জন্য কার্যকর করা কঠিন।এক্ষেত্রে ডিপার্টমেন্টে এর চেয়ারম্যান ও ব্যাচের উপর দায়িত্বের বেশিরভাগ টুকু ছেড়ে দিয়ে পরীক্ষা নেয়া ছাত্রবান্ধব হবে। উদাহরস্বরূপ বলা যায় অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থীরা এ পর্যন্ত সবকয়টা সিটিতে বিশেষ সমস্যা ছাড়া অংশগ্রহণ করেছে এবং তারা এই ছোট ছোট পরিসরে এক্সাম দিতে সক্ষম। তবে সেটি অন্য ডিপার্টমেন্ট এর শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সম্ভব নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে এক ডিপার্টমেন্টের সমস্যার জন্য আরেকটি ডিপার্টমেন্ট তো বসে থাকতে পারে না। তাই যাদের বিশেষ কোন সমস্যা নাই তাদের পরীক্ষা শুরু করে দেয়া উচিত।
ইনফোরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী কামরুল হাসান তুহিন বলেন, এতদিনে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের স্নাতক শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। আমাদের এত বড় ক্যাম্পাসে শুধু মাত্র ১টি ব্যাচের পরীক্ষার ব্যবস্থা হয়তো শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে করা সম্ভব। এরপর ১ টি শেষ হলে অন্য ১ টি ব্যাচের পরীক্ষা নেয়া যায় ধারাবাহিকভাবে। বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে অনলাইনে পরীক্ষাগুলো যথাযথভাবে ফলপ্রসু হওয়া সম্ভব নয়। অনলাইনে পরীক্ষা আর অটো পাসের মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য নেই বলে মনে করি। অফলাইন পরীক্ষা আর অনলাইন পরীক্ষার গুণগতমান কখনোই এক হবে না।
সানবিডি/এনজে