অসহায়ের মুখে হাসি ফুটিয়ে তৃপ্তি পান শিল্পী ফারদিন

নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০২১-০৫-১০ ১৮:০৮:৪৩


মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য। কালজয়ী এই গানের কথা মনে হলেই বিবেক তাড়িত হয়। ভিতরটা নাড়া দিয়ে ওঠে অসহায় মানুষের জন্য কিছু করার। আর তাই করোনাকালীন পুরো রমজান মাসজুড়ে ভাসমান ছিন্নমূল মানুষের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রেখেছে দেশের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী ও অভিনেতা বিল্লাল ফারদিন ।

প্রায় প্রতিদিনই নিজস্ব অর্থায়নে রাজধানীর হাজারীবাগ ও আশপাশের এলাকা ইফতার সামগ্রীসহ বিভিন্নভাবে তাদের সহযোগীতা দিয়ে আসছে।

রমজান ও ভয়াবহ মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে কখনো খিচুরি, খেজুর, নানা ধরনের ফল ও মাঝে মধ্যে বিরিয়ানি পৌঁছে দিয়েছে অসহায় মানুষের মাঝে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ইফতারের আগে ছিন্নমূল মানুষগুলোর হাতে ইফতার সামগ্রী তুলে দিয়ে অসহায় ও খেটে খাওয়া মানুষের মুখের তৃপ্তির হাসিটা দেখে বাড়ি যান তিনি।

এছাড়া অসহায় এসব মানুষের মাঝে চাল, ডাল, সবজিসহ বিভিন্ন উপহার সামগ্রী বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌঁছে দিয়ে আসেন তিনি।

মাসুম বিল্লাল ফারদিনের প্রশংসিত এমন কাজ নিয়ে কথা হয় প্রতিবেদকের সঙ্গে।তিনি বলেন, আমি সারা জীবন মানুষের পাশে থাকতে চাই। এই করোনাকালীন খেটে খাওয়া কর্মহীন মানুষের জন্য জীবন দিতেও প্রস্তুত। আমি গতবছরও কোভিড পরিস্থিতিতে রমজানমাসসহ পুরো সময় সাধারণ মানুষের পাশে ছিলাম। আমার সামর্থ অনুযায়ী করোনা প্রতিষেধক সামগ্রী মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করেছি। ইফতার সামগ্রীসহ বিভিন্ন খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়েছি। ঈদেও নতুন কাপড় দেয়ার চেষ্টা করেছি। শীতকালে শহরের ছিন্নমূল মানুষদের শীতবস্ত্র দিয়েছি। দেশের যেকোনো সংকটকালীন সময়ে আমি ব্যক্তিগতভাবে অসহায় মানুষের পাশে আছি থাকবো ইনশাআল্লাহ।

তিনি আরও জানান, আমার জীবনের উদ্দেশ্য হচ্ছে অসহায় কর্মহীন মানুষের পাশে থেকে তাদের সেবা করা। আমি মানুষের সাথে সম্পর্কে স্থাপনে বিশ্বাসী। দেশের যে প্রান্তেই হোকনা কেন, দুস্থ ও বেকার সাংবাদিকসহ দেশের পার্বত্য অঞ্চলের জেলাসহ বান্দরবান, খাগরাছড়ি, সিলেট, চট্টগ্রাম, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, নাটোর, বগুড়া, বরিশাল, নওগাঁ, রাজশাহী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার যারা আমাকে জানিয়েছে তাদের মাঝে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবেলাই সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে কর্মহীন মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যেতে চাই। কর্মহীন মানুষের জন্য কিছু করতে চাই। পাশাপাশি প্রতিটি সচেতন মানুষের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত অসহায় মানুষের পাশে থেকে তাদের সেবা করা।

পৃথিবীতে দান করে কেউ কখনো গরীব হয়নি। বরং গরীব মানসিকতার মানুষেরা কখনো দান করতে পারেনি। পৃথিবীতে সেই মানুষগুলোই সবচেয়ে বেশী সুখের কাছাকাছি যেতে পেরেছে, যারা নিজেদেরকে আর্ত-মানবতার সেবায় বিলিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে।

সঙ্গীত শিল্পী ফারদিন জানান, আমার একার পক্ষে এই অসহায় মানুষদের আশানুরূপ সহযোগিতা করা সম্ভব নয়। বর্তমানে যে পরিমান সাহায্য দেয়া হচ্ছে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। আসুন আমরা সকলে এই অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াই। জীবনে বেঁচে থাকলে আমরা অনেক অর্থকড়ি উপার্জন করতে পারব।