ফের ৫ হাজার করোনা দুর্গত পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিল বিকাশ
সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২১-০৫-১২ ১৭:৩০:১৯
গত বছরের মত এবারও করোনা দুর্গত পাঁচ হাজার পরিবারকে ৩৫ লাখ টাকার খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে বিকাশ। সেনা কল্যাণ সংস্থার তত্ত্বাবধানে ঈদের আগেই দুস্থ পরিবারগুলোর মাঝে পৌঁছে যাবে এই খাদ্য সহায়তা।
আজ বুধবার সেনাকল্যাণ সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠানটির ডিরেক্টর জেনারেল (ওয়েলফেয়ার) এয়ার কমোডোর এম মইনুদ্দিনের হাতে সহায়তার এই খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন বিকাশের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার কামাল কাদীর।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সেনাকল্যাণ সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল (মার্কেটিং) কমোডোর মাহমুদ হোসেন (এন ডি); ডিরেক্টর জেনারেল (এইচ আর) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মির্জা মো. এনামুল হক এবং বিকাশের চিফ এক্সটার্নাল অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেজর জেনারেল (অব.) শেখ মো. মনিরুল ইসলাম।
চার সদস্যের পরিবারের ১০ দিন চলার মত এই খাদ্য সহায়তায় প্রতিটি পরিবার পাচ্ছেন ৫ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি লবণ, ১ লিটার তেল, ১ কেজি চিনি, আধা কেজি সেমাই ও দুটি সাবান।
করোনার কারণে উপার্জনের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়া পরিবারগুলোর কাছে এই খাদ্য সহায়তা কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে বিবেচনায় দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ, সেনাকল্যাণ সংস্থার ব্যবস্থাপনায় সেনা সদস্যদের মাধ্যমে ঈদের আগেই তা পৌঁছে দেবে।
করোনাকালীন সময়ে দেশের মানুষের আর্থিক লেনদেন স্বাভাবিক রাখতে নিরবচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিত করা সহ নানা সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) কর্মসূচি গ্রহণ করে বিকাশ।
গতবছর মে মাসে সেনাকল্যাণ সংস্থার মাধ্যমে পাঁচ হাজার পরিবারের খাদ্য সহায়তাও নিশ্চিত করে বিকাশ। করোনা চিকিৎসায় দেশের শীর্ষস্থানীয় হাসপাতালগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা শিশু হাসপাতাল, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল এবং কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে ৩০টি হাই-ফ্লো অক্সিজেন ভেন্টিলেটর দেয় বিকাশ।
পাশাপাশি বারডেমের সহযোগী ডায়বেটিক হাসপাতালে (বিআইএসইচএস জেনারেল হাসপাতাল) অক্সিজেন প্ল্যান্ট নির্মাণ করে দেয়। এছাড়া আলিবাবা ফাউন্ডেশন ও জ্যাক মা ফাউন্ডেশনের দেওয়া ৩৫০টি ভেন্টিলেটরসহ নয় লক্ষাধিক চিকিৎসা সামগ্রী বিকাশের ব্যবস্থাপনায় প্রধানমন্ত্রীর তহবিল এবং সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য, চীনা জায়ান্ট আলীবাবা গ্রুপের অ্যাফিলিয়েট অ্যান্ট গ্রুপ দেশীয় প্রতিষ্ঠান বিকাশের মালিকানার অন্যতম অংশীদার। একই সময়ে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের হাসপাতাল নির্মাণেও অর্থ সহায়তা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।