ঘূর্ণিঝড় তওকতের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড গুজরাট, নিহত ১৯
আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ২০২১-০৫-১৮ ২০:০৩:৪০
ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় উপকূলে ‘অত্যন্ত মারাত্মক ঘূর্ণিঝড়ে’ পরিণত হওয়া তওকতের আঘাতে অন্তত ১৯ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এছাড়া এই ঝড়ের তাণ্ডবে পশ্চিম উপকূলের গুজরাট প্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তা-ঘাট, অবকাঠামো ও কৃষির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
দেশটির পশ্চিম উপকূলে তাণ্ডব চালানো তওকত এই মুহূর্তে ভারী বর্ষণে শক্তি হারিয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছে বলে মঙ্গলবার ভারতের আবহাওয়া বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
সোমবার রাতে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটের উপকূলীয় এলাকায় আছড়ে পড়ে তওকত। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানি বলেছেন, ঝড়ের তাণ্ডবে ওই রাজ্যে বিদ্যুতের হাজার হাজার খুঁটি উপড়ে পড়ে। এতে গুজরাটের প্রায় ২ হাজার ৪০০ গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হয়।
তিনি বলেন, ঝড়ের কারণে রাজ্যের প্রায় ১৬০টি সড়ক ধ্বংস হয়েছে, উপড়ে পড়েছে ৪০ হাজারের বেশি গাছ। কয়েকশ বাড়িঘর উড়ে গেছে। মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানি বলেন, রাজ্যের অনেক এলাকায় এখনও ভারী বর্ষণ এবং ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। যে কোনো ধরনের পারিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য প্রশাসনকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ভারতের আবহাওয়া বিভাগ বলেছে, তওকতের আঘাতের আগে গুজরাটের উপকূলীয় এলাকার ২ লাখের বেশি মানুষকে তাদের বাড়িঘর থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়। সোমবার রাতে এই ঝড়টি রাজ্যের উপকূলীয় এলাকায় ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২১০ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়ে।
আবহাওয়া বিভাগের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘অত্যন্ত মারাত্মক ঘূর্ণিঝড়’ তওকত প্রবল বর্ষণ এবং তাণ্ডবের পর বর্তমানে দুর্বল হয়ে পড়েছে। আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এটি আরও দুর্বল হয়ে সাধারণ ঝড়ে পরিণত হতে পারে।
গত দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছিল তওকত। করোনাভাইরাস মহামারিতে বিপর্যস্ত ভারতে এই ঝড় দেশটির সরকারের ওপর নতুন চাপ তৈরি করেছে।
গুজরাটের ভবনগর জেলার শীর্ষ কর্মকর্তা গওরং মাকওয়ানা বলেছেন, আমরা বর্তমানে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি। যাতে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে অক্সিজেন সরবরাহে কোনো ধরনের বিঘ্ন না ঘটে।
সূত্র: রয়টার্স
সানবিডি/এএ