নোবিপ্রবিতে জাতীয় বিতর্ক উৎসবের ফাইনাল অনুষ্ঠিত

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০২১-০৫-২২ ২২:১৭:৫২


নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি (নোবিপ্রবিডিএস) কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় বিতর্ক উৎসবের গ্রান্ড ফাইনাল ও সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে “রক্তাক্ত বিপ্লব” শীর্ষক তিন দিন ব্যাপী এই বিতর্ক উৎসব আয়োজিত হয়।

২২ মে (শনিবার) বিকেলে ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে এ বিতর্ক উৎসবের ফাইনাল পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটির বিতার্কিক দল এবং প্রথম রানার আপ হয়েছে চট্টগ্রাম ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটির বিতার্কিক দল।

ফাইনাল পর্বের মোশন ছিলো, “এই সংসদ বিশ্বাস করে, বাংলা সাহিত্য তার আটপৌড়ে সংস্কৃতির নিগড় থেকে বের হতে না পারাটাই, তাকে বিশ্বসাহিত্যে মলিন করে রেখেছে”।

উক্ত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: দিদার-উল-আলম। তিনি বলেন, “নোবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটির এই আয়োজন সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। আজকের দুই বিতার্কিক দলের যুক্তি মুগ্ধ হয়ে শুনছিলাম। আজকের বিতর্কের মোশনটি বর্তমান প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যময় ছিলো। আমি আশা রাখি আমার শিক্ষার্থীরা বিতর্কের জগতে আরো অনেক দূর এগিয়ে যাবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সুনাম বয়ে আনবে। আমি সবসময় শিক্ষার্থীদের কো-কারিকুলাম এক্টিভিটিসে তাদের পাশে আছি”।

জাতীয় বিতর্ক উৎসবের আয়োজন নিয়ে নোবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি সৈয়দ মুমতাহিন মান্নান সিয়াম বলেন, “বিগত ১ মাস যাবৎ প্ল্যান প্রোগ্রাম ও আমার সাংগঠনিক টিমের সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রম, মডারেটর ও সাবেক সদস্যদের পরামর্শ ও দিকনির্দেশনায় আজকে আমাদের এই বিতর্ক আয়োজনের পর্দা নেমেছে। অংশগ্রহণকারী বিতার্কিক, বিচারক ও শ্রোতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। আশা করি খুব শীঘ্রই আমরা নোবিপ্রবি ক্যাম্পাসেই দেশসেরা বিতার্কিক ও বিচারকদের অংশগ্রহণে অসাধারণ আরো কিছু আয়োজন উপহার দিতে পারবো।”

উল্লেখ্য যে, “শিকল ভাঙ্গার কন্ঠস্বরের অনুনাদ “- এ স্লোগানকে সামনে রেখে এ বিতর্ক উৎসবের আয়োজন করা হয়। এতে সরকারি ও বেসরকারি ২৮ টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মোট ৩২ টি বিতর্ক দল অংশগ্রহণ করে যেখানে বিতার্কিকের সংখ্যা প্রায় ১০০। সম্পূর্ণ প্রতিযোগিতায় ২৪ জনের মূল বিচারক পর্ষদ এবং ৬০ জন বিচারক প্যানেলে অংশগ্রহণ করেন।