নয় মাসে চার বিয়ে, প্রতারক গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২১-০৫-২৬ ২০:৫৬:১৯
নিজেকে ধনাঢ্য পরিবারের ছেলে পরিচয় দিয়ে একের পর এক বিয়ে করত সে। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতেই থাকত। এক সময় কাজের কথা বলে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়ে সুযোগ বুঝে কৌশলে সটকে পড়ত।
নাঈম ওরফে রাজু (২৯) নামে এই যুবক এভাবে গত ৯ মাসে চারটি বিয়ে করে। হাতিয়ে নেয় মোটা অঙ্কের টাকা। তার এই প্রতারণায় সহযোগিতা করে কয়েক সহযোগী। তারা বিয়ের সময় নিজেদের নাঈমের ভাই, চাচাসহ আত্মীয় বলে পরিচয় দিত। নাঈমের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগও রয়েছে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি এ প্রতারকের। গত ২২ মে রাতে। থানায় মামলা হওয়ার পর তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, কটিয়াদী উপজেলার চান্দপুর ইউনিয়নের শিমুলকান্দী গ্রামের মফিজ মিয়ার ছেলে নাঈম। প্রতারক চক্রের কয়েকজনের সহযোগিতায় সে অপকর্ম করত। নিজের নাম রাজু ও পিতৃমাতৃহীন সচ্ছল পরিবারের সন্তান বলে পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় সহজ-সরল পরিবারের মেয়ের বিয়ে করত। তার দলের কয়েকজন নিজেদের ছেলের বড় ভাই, চাচা, মামা পরিচয় দিত। আবার কেউ ঘটকের ভূমিকা পালন করত। বিয়ের আগে এই ভুয়া ঘটকও হাতিয়ে নিত টাকা। সর্বশেষ গত ঈদের আগের দিন কটিয়াদী উপজেলার পং মসূয়া এলাকায় এক মেয়েকে সে বিয়ে করে। কিন্তু ভৈরব উপজেলার তার এক স্ত্রীর ছোট বোন নাঈমের প্রতারণার বিষয়টি জানতে পেরে নতুন বিয়ে করা স্ত্রীকে জানান। খবর পেয়ে পুলিশ ওই স্ত্রীর বাড়ি থেকে তাকে আটক করে। এ ব্যাপারে সর্বশেষ স্ত্রী বাদী হয়ে নাঈমের বিরুদ্ধে কটিয়াদী মডেল থানায় প্রতারণা মামলা করেছেন।
কটিয়াদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম জানান, নাঈম গত ৯ মাসে কটিয়াদীতে দুটি, ভৈরবে একটি এবং নরসিংদীর মনোহরদীতে একটি বিয়ে করেছে বলে তথ্য পেয়েছে পুলিশ। এমন আরও ঘটনা আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হোসেনপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোনাহর আলী জানান, ধূর্ত নাঈম স্ত্রীদের জাতীয় পরিচয়পত্র ও অন্যান্য কাগজ ব্যবহার করে এক স্ত্রীর নামে কিশোরগঞ্জের এক নারীর কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা ঋণ নিয়েছে। একটি এনজিও থেকেও টাকা তুলেছে। তার সব অপকর্ম বের করতে অনুসন্ধান চলছে। প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারেও পুলিশ তৎপর।
সানবিডি/এএ