সোমার জন্য মাঠে সক্রিয় এনআরবি গ্লোবাল

নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০২১-০৫-২৯ ২১:১৫:৫০


নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিল নির্বাচনে ডিস্ট্রিক্ট-২৪-এ কাউন্সিলম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কমিউনিটির পরিচিত মুখ অ্যাটর্নি সোমা সায়ীদ। তিনি কুইন্স কাউন্টি উইমেন্স বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট এবং নিউইয়র্ক স্টেট বার অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারপারসন অ্যাটর্নি অ্যাট ল।

এ নির্বাচনে সোমা সায়ীদের হয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে বিশ্বময় প্রবাসী বাঙালীদের সংগঠন নন রেসিডেন্ট বাংলাদেশী (এনআরবি গ্লোবাল)। নির্বাচনী প্রচারের অংশ হিসেবে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নিয়মিত প্রচারকার্য চালিয়ে যাচ্ছে সংগঠনটি। বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে ভার্চুয়ালি আয়োজন করছে মতবিনিময় সভা।

এ সম্পর্কে এনআরবি গ্লোবালের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট জনাব তারিক বাবু বলেন, নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিল নির্বাচনে কুইন্স কাউন্টি থেকে জাজ হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন প্রথম একজন মুসলিম বাংলাদেশি সোমা সায়ীদ। এটা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। নিউইয়র্ক কমিউনিটির কাছে আমার অনুরোধ এবার আমরা প্রতিজ্ঞা করবো সোমা সায়ীদের জয়ের ব্যাপারে।

তিনি আরো বলেন, প্রবাসী বাঙালীদের ১৫ মিলিয়নের প্ল্যাটফর্ম এনআরবি গ্লোবাল থেকে আমরা নিয়মিত সোমা সায়ীদের নির্বাচনী প্রচারকার্য চালিয়ে যাচ্ছি। এ প্ল্যাটফর্ম থেকে নিউইয়র্ক শহরে অবস্থানরত সকল প্রবাসী বাঙালীদের আমি অনুরোধ জানাবো, যেহেতু আর্লী ভোটের ব্যবস্থা হয়েছে আপনারা সবাই আর্লী ভোট দিয়ে সোমা সায়ীদকে কুইন্স কাউন্টির প্রথম বাঙালি জাজ হিসেবে জয়জুক্ত করুন।

নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিয়ে সোমা সায়ীদ বলেন, শুধু অংশ নেওয়ার জন্যই নির্বাচন করছেন না। তিনি নির্বাচন জয়ী হতে চান। তবে কমিউনিটির সহযোগিতা ছাড়া এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তিনি মনে করেন, বাংলাদেশি কমিউনিটিতে জেনারেশন গ্যাপ চলছে। এটি দূর করতে হবে। কেউ নির্বাচন করলে তাকে হারাতে কমিউনিটির মধ্যে যাতে কোনো নেতিবাচক গ্রুপিং তৈরি না হয়, সেটাও খেয়াল রাখতে হবে।

সোমা বলেন, বাংলাদেশি মার্কিন কমিউনিটির তৃতীয় জেনারেশন চলছে। এখন সময় এসেছে, নিজেদের কমিউনিটি থেকে নেতা তৈরি করার। ভালো ও যোগ্য প্রার্থী হলে তাকে সবার সাহায্য করতে হবে। তিনি বলেন, ‘আশা করছি, একজন যোগ্য প্রার্থী হিসেবে সবাই ভোট দেবেন, সবাই সহযোগিতায় এগিয়ে আসবেন।

প্রসঙ্গত, সোমা সায়ীদ ১২ বছর বয়সে টাঙ্গাইল থেকে বাবা-মায়ের সঙ্গে পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। এখানে আসার পর পরই তিনি স্বপ্ন দেখেন অ্যাটর্নি হওয়ার। সে হিসেবেই নিজেকে প্রস্তুত করেন। আলবেনি ল স্কুল থেকে জুরিস ডক্টর (জেডি) ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। তাঁর বাবা আফতাব উদ্দীন সায়ীদ পেশায় আইনবিদ। তার মা আমেনা সায়ীদ বাংলাদেশে দুটি গার্লস স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাঁর বাবা সরকারি চাকরি ছেড়ে এ দেশে এসে এমবিএ ডিগ্রি নেন, এরপর সিপিএ হন।

২০০৪ সালে নিউইয়র্ক বারের সদস্য হন তিনি। ১৬ বছর ধরে নিউইয়র্কে আইন পেশায় জড়িত। এছাড়া, তিনি কাজ করেন সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্ট অব নিউইয়র্ক, ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্ট অব নিউইয়র্ক, সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্ট ব্যাংকক্রাপসি কোর্ট, ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্ট ব্যাংকক্রাপসি কোর্ট, ইউএস ট্যাক্স কোর্ট এবং সেকেন্ড সার্কিট কোর্ট অব আপিলসে। আইন পেশা ও অন্যান্য কর্মতৎপরতার জন্য তিনি একাধিক পুরস্কার পেয়েছেন।

সানবিডি/এএ