প্যারাগন লেদারের প্রতারণা মামলায় একজনের জামিন
আপডেট: ২০১৫-০৯-২১ ১৮:৫৮:১৪
প্যারাগন লেদার অ্যান্ড ফুটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার সার্টিফিকেট প্রতারণা মামলায় এক আসামি জামিন পেয়েছেন। আজ সোমবার পুঁজিবাজার সংক্রান্ত বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক হুমায়ন কবীর আসামি আব্দুস সালামের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর মো. মোস্তাফিজুর রহমান দুলাল অর্থসূচককে জানান, আসামি কর্পোরেট অ্যাডভাইজার আব্দুস সালাম অসুস্থ্, বয়স্ক ও সরকারি প্রকল্পের পরিচালক পদে কর্মরত রয়েছেন। এসব বিষয় উল্লেখ করে আদালতে জামিন আবেদন করা হয়েছিল। আদালত বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
আসামিপক্ষের অপর আইনজীবী মো. এমানুর রহমান বলেন, আমরা আদালতে দুই জনের পক্ষে জামিন আবেদন করেছিলাম। আদালত একজনের আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর সোমবার এ মামলার ৫ জন আসামি ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন। তবে বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবেদন নামঞ্জুর করে তাদেরকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
তারা হলেন- প্যারাগন লেদারের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএ সালাম, কর্পোরেট অ্যাডভাইজার আব্দুস সালাম, অ্যাকাউন্টস অফিসার মো. জালাল উদ্দিন, শেয়ার অফিসার এসএম জুনায়েদ বাগদাদী ও কম্পিউটার অপারেটর হেমন্ত বাইন ভূইয়া।
আজ আদালতে কর্পোরেট অ্যাডভাইজার আব্দুস সালাম ও শেয়ার অফিসার এসএম জুনায়েদ বাগদাদীর পক্ষে জামিন আবেদন করা হয়।
আসামিপক্ষের আইনজীবী হিসেবে তাদের জামিন আবেদন করেন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামালা মামলার প্রধান প্রসিকিউটর সৈয়দ রেজাউর রহমান।
এ মামলার ১৯ ও ২০ নং আসামি মাহবুবুর রহমান ওমোয়াজ্জেম হোসেন জামিনে রয়েছেন; বাকিরা পলাতক।
প্রসঙ্গত, প্যারাগন লেদারের শেয়ার জালিয়াতি নিয়ে কোম্পানিসহ আরও ২০ জনকে আসামি করে ২০০২ সালে মামলা করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। আসামিরা হলেন- এম এ সালাম, আবুল কালাম আজাদ, নূর মোহাম্মদ, আব্দুস সালাম, এস এস জুনায়েদ বাগদাদী, মো. কুতুবউদ্দিন, মো. আরব মিয়া, আলী আহম্মেদ, মো. নূরুল আফসার, মো. কলিমউদ্দিন, মো. জালাল উদ্দিন, হেমন্ত বাইন, এবিএম মোরশেদুল হক, মো. সাইফুল্লা মিজান, শামসুল হাদী, মো. বশির আলম, মাহবুবুর, মাহবুবুর রহমান, মোয়াজ্জেম হোসেন ও প্যরাগন লেদার এ্যান্ড রুট ওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
জানা যায়, কোম্পানিটির শেয়ার জালিয়াতির অভিযোগের ভিত্তিতে বিএসইসি তদন্ত কমিটি গঠন করে। ২০০১ সালের ৩১ মে কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করে।
আরও জানা যায়, আসামিরা কোম্পানির শেয়ার জাল করার ব্যাপারে বড় ভূমিকা রাখে। এই জাল শেয়ার সার্টিফিকেট কিছু ব্যক্তি ও কোম্পানিটির কিছু কর্মকর্তা ঋণের বিপরীতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে জমা দেয়। আর ওইসব জাল শেয়ার সার্টিফিকেট ব্যাংকের মাধ্যমে শেয়ারবাজারে আসে।