ঈদের আগে পুঁজিবাজারে পুরো সময়ে চলবে লেনদেন
সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২১-০৭-১৪ ০৯:৩৭:০৭
ঈদকে সামনে রেখে চলমান কঠোর বিধি-নিষেধ শিথিল করেছে সরকার। এই সময়ের জন্য ব্যাংকিং সূচিতেই পরিবর্তন এনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আগামী বৃহস্পতিবার,রোববা ও সোমার থেকে তিনদিন আগের নিয়মে চলবে ব্যাংকিং সেবা।
মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব সাইট সুপারভিশন-ডিওএস থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়।
এতে বলা হয়েছে,ঈদের আগের তিনদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) , রোববার (১৮ জুলাই) ও সোমবার (১৯ জুলাই) ব্যাংক লেনদেন হবে ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ব্যাংকের আনুষঙ্গিক কাজ চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
ফলে ব্যাংকের সাথে মিল রেখে পুঁজিবাজারের লেনদেনের সময়ে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। একই সাথে গত কয়েক সপ্তাহ রোববার লেনদেন বন্ধ থাকলেও আগামী রোববার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসির) কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ সানবিডিকে বলেছেন, ব্যাংকিং কার্যক্রমের সাথে মিল রেখে আমাদের পুঁজিবাজারে লেনদেন হয। ব্যাংকিং সময়ে যেহেতু পরিবর্তন আনা হয়েছে, পুঁজিবাজারেও পরিবর্তন হবে। ঈদের আগে আগামী তিনদিন আগের নিয়মে লেনদেন চলবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, আগামী শনিবার (১৭ জুলাই) ও মঙ্গলবার (২০ জুলাই) শিল্প এলাকায় সীমিত আকারে ব্যাংক লেনদেন হবে। এ দুদিন শিল্প এলাকায় লেনদেন হবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত। ব্যাংকের আনুষঙ্গিক কাজ চলবে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত।
এছাড়া ঈদের পর ২৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময় ব্যাংক লেনদেন হবে সীমিত পরিসরে। ২৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়া ব্যাংক লেনদেন হবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত। এ সময়ে ব্যাংকের অন্যান্য কাজ চলবে বিকেল ৩টা পর্যন্ত।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়, এ সময়ে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে পরিপালন-পূর্বক সীমিত সংখ্যক লোকবলের মাধ্যমে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের অত্যাবশ্যকীয় বিভাগসমূহসহ ব্যাংক স্বীয় বিবেচনায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক শাখা খোলা রাখতে পারবে।
বিধি-নিষেধ চলাকালে যেসব ব্যাংকিংসেবা চালু থাকবে
গ্রাহকদের হিসাবে নগদ/চেকের মাধ্যমে অর্থ জমা ও উত্তোলন, ডিমান্ড ড্রাফট/পে-অর্ডার ইস্যু ও জমা গ্রহণ, বৈদেশিক রেমিট্যান্সের অর্থ পরিশোধ, সরকারের বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমের আওতায় প্রদত্ত ভাতা/অনুদান বিতরণ, একই ব্যাংকের খোলা রাখা বিভিন্ন শাখা ও একই শাখার বিভিন্ন হিসাবের মধ্যে অর্থ স্থানান্তর, ট্রেজারি চালান গ্রহণ, অনলাইন সুবিধা সম্বলিত ব্যাংকের সব গ্রাহকের এবং ওই সুবিধাবহির্ভূত ব্যাংক খোলা রাখা শাখার গ্রাহকদের বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক চালু রাখা বিভিন্ন পেমেন্ট সিস্টেমস/ক্লিয়ারিং ব্যবস্থার আওতাধীন অন্যান্য লেনদেন সুবিধা প্রদান এবং জরুরি বৈদেশিক লেনদেন সংক্রান্ত কার্যাবলি।
কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন ও ইন্টারনেট ব্যাংকিংসেবা সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে। এটিএম বুথগুলোতে পর্যাপ্ত নোট সরবরাহসহ সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে।
সমুদ্র/স্থল/বিমানবন্দর এলাকায় (পোর্ট ও কাস্টমস এলাকা) অবস্থিত ব্যাংকের শাখা/উপ-শাখা/বুথসমূহ সার্বক্ষণিক খোলা রাখার বিষয়ে ৫ আগস্ট ২০১৯ এ জারিকৃত ডিওএস সার্কুলার লেটার নং-২৪ অনুসারে স্থানীয় প্রশাসনসহ বন্দর/কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে পরিপালন নিশ্চিত-পূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
বিধিনিষেধ চলাকালে যেসব শাখা বন্ধ থাকবে সেসব শাখার গ্রাহক সেবা কার্যক্রম খোলা রাখা শাখার মাধ্যমে সম্পাদনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বন্ধ শাখার গ্রাহকদের গ্রাহক সেবাপ্রাপ্তি বিষয়ে অবহিত করতে ওই শাখার দৃশ্যমান স্থানে তা বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রদর্শন নিশ্চিত করতে হবে।
বিধিনিষেধ চলাকালে ব্যাংকের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের স্ব স্ব অফিসে যাতায়াতের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ব্যাংক কর্মকর্তা/কর্মচারীকে চলাচলের সময় স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত পরিচয়পত্র বহন করতে হবে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হলো।