মোবাইল ফোন কারখানা করছে ওয়ালটন
আপডেট: ২০১৬-০১-২৩ ১৬:২৮:০৭
বাংলাদেশে মোবাইল ফোন তৈরির কারখানা করতে যাচ্ছে ওয়ালটন। মোবাইল ফোন সেট তৈরির কাঁচামাল আমদানিতে সরকারের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা পেলে ২০১৭ সালের মধ্যে দেশেই মোবাইল হ্যান্ডসেট তৈরি করতে আগ্রহী ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ। এলক্ষ্যে এরইমধ্যে দেড় শতাধিক প্রকৌশলী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তারা মোবাইল সেটের মানোন্নয়ন ও গবেষণা নিয়ে কাজ করছেন।
শনিবার গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাই-টেক কারখানা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী ওয়ালটন মোবাইল ডিস্ট্রিবিউটর কংগ্রেস-২০১৬ তে ওয়ালটন গ্রুপের পরিচালক এসএম মঞ্জুরুল আলম অভি এই পরিকল্পনার কথা জানান। তিনি বলেন, মোবাইল সেট বিক্রিতে ইতোমধ্যে বছরে গড়ে ২০০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে ওয়ালটন। সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়কে সামনে এগিয়ে নিতে ওয়ালটন দেশের ভেতরেই মিড ও হাই রেঞ্জের মোবাইলফোন সেট ও ট্যাব তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে। এজন্য সবার আগে সরকারি নীতি সহায়তা প্রয়োজন বলে জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদনে দেশ-বিদেশে ইতিহাস গড়ার প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ওয়ালটন।
’চলো একসাথে ইতিহাস গড়ি’ স্লোগানে শুরু হওয়া দিনব্যাপী কংগ্রেসে সারাদেশ থেকে আসা ওয়ালটন মোবাইল ফোন বিভাগের ২৫ টি জোনের ১৭০ জন ডিস্ট্রিবিউটর অংশ নেন। ডিস্ট্রিবিউটররা নিজেদের সৃজনশীল মেধা ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দেশে-বিদেশে ওয়ালটন মোবাইলের বাজার সম্প্রসারণে আরো দৃঢ়ভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
কংগ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন গ্রুপের চেয়ারম্যান এসএস নূরুল আলম রেজভী। উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ড্রাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এসএম শামসুল আলম, পরিচালক এসএম রেজাউল আলম, এসএম মঞ্জুরুল আলম অভি এবং তাহমিনা আফরোজ, নির্বাহী পরিচালক ও বিপণন বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক ইভা রিজওয়ানা, পলিসি, এইচআরএম এবং এডমিন বিভাগের নির্বাহী পরিচালক এসএম জাহিদ হাসান, বিপণন বিভাগের নির্বাহী পরিচালক এমদাদুল হক সরকার, ফরেইন ট্রেড মনিটরিং বিভাগের নির্বাহী পরিচালক নজরুল ইসলাম সরকার, পিআর এন্ড মিডিয়া বিভাগের নির্বাহী পরিচালক মো. হুমায়ুন কবীর, অপারেটিভ ডিরেক্টর লে. কর্ণেল (অব.) আব্দুল কাদের প্রমূখ।
এসময় এসএম শামসুল আলম বলেন, ওয়ালটনের শুধু ব্যবসাই উদ্দেশ্য নয়, দেশ ও মানুষের সেবার কাজও করছে। দিন দিন ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করছে। এ ধারা অব্যাহত রাখার জন্য সকলস্থরের কর্মকর্তা ও ডিস্ট্রিবিউটরদের সহযোগিতা চান তিনি।
তিনি বলেন, ‘ফ্রিজ ও টেলিভিশনের মতো খুব শীঘ্রই মোবাইলের পেছনে লেখা থাকবে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’। এজন্য ওয়ালটন গ্রুপ নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
ডিস্ট্রিবিউটরদের উদ্দেশ্যে ইভা রিজওয়ানা বলেন, কোম্পানির নিয়ম মেনে ওয়ালটনের স্মার্ট ফোন গ্রাহকের নিকট পৌছানোর দায়িত্ব আপনাদের। গ্রাহেেকর চাহিদা মাথায় রেখে ওয়ালটন পণ্য বাজারজাত করছে। গুণগত মানের জন্যই ওয়ালটন পণ্য দিগন্ত ছাড়িয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে এসএম জাহিদ হাসান বলেন, একদল বুদ্ধিদীপ্ত মানুষের নেতৃত্বে ওয়ালটন গ্রুপ ব্যাপক কর্সংস্থানের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। শুধু ভৌগলিক স্বাধীনতায় নয় আমরা অর্থনৈতিক স্বাধীনতার জন্য লড়ছি।
এসময় ইলিয়াস কাঞ্চন তার বক্তৃতায় বলেন, ওয়ালটন এখন কোন পণ্য নয়, ওয়ালটন একটি ব্র্যান্ড; যা বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করছে। বাংলাদেশের গন্ডি পেরিয়ে এখন বিশ্বময়। শুধু ব্যবসা নয়, ওয়ালটন দেশ গড়ার কাজও করে যাচ্ছে -বলে উল্লেখ করেন তিনি।
উৎসব মুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত কংগ্রেসে ২০১৫ সালের শ্রেষ্ঠ পরিবেশক এবং শীতকালীন অফারের সেরাদেরসহ ৪৩ পরিবেশককে ক্রেস্ট ও সনদ প্রদান করা হয়।
ডিস্ট্রিবিউটর কংগ্রেসের শুরুতে আগত ডিস্ট্রিবিউটরগণ ওয়ালটন কারখানায় ফ্রিজ, টেলিভিশন, এয়ার কন্ডিশনার, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন ধরণের হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স পণ্যের উৎপাদন ইউনিট সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। সবশেষে মনোজ্ঞ সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিনব্যাপী এই কংগ্রেসের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।