দরিদ্র হয়ে বেঁচে থাকা এবং মারা যাওয়া অভিশাপ: অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০২১-০৯-০২ ২০:৫১:১৪


দরিদ্র হয়ে জন্ম নেওয়া অপরাধ নয়, কিন্তু দরিদ্র হয়ে বেঁচে থাকা এবং মারা যাওয়া অভিশাপ। কেননা আমাদের রয়েছে দারিদ্রতা থেকে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা।

বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সুজাইজারল্যান্ডের জেনেভার জাতিসংঘ কার্যালয়ে ইউএনএলডিসি-৫ সম্মেলনের প্রস্তুতির জন্য উচ্চ পর্যায়ের এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল পর্যালোচনা সভায় যোগ দিয়ে সমাপনী বক্তব্যে এ কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, জন্মগতভাবে আমরা সবাই সমান নই, কিন্তু আমাদের অবস্থার উন্নতির জন্য রয়েছে এক বা ভিন্ন ভিন্ন রকমের সুযোগ ও সক্ষমতা। আমরা যদি একটু পিছনে ফিরে তাকাই, বিশেষ করে ২০০ বছর আগেও দেখি, আজকের উন্নত দেশগুলো বর্তমান অবস্থাতে ছিল না। তাদের এখনকার সুযোগ-সুবিধাগুলো তখন তাদের ছিল না। তখন দরিদ্র এবং দরিদ্র নয় এমন অবস্থা ছিল ৮০ এবং ২০ অনুপাতে, আর এখন এটি সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থায় বিরাজমান। কেউ যদি তার পরিস্থিতি পরিবর্তনের চেষ্টা না করে, তাহলে কেউই তাকে দারিদ্র্যতা থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করবে না। আর যদি সত্যিই অবস্থার পরিবর্তন করতে চায়, অবশ্যই সফলতা আসবে।

তিনি বলেন, পৃথিবী বিখ্যাত স্বনামধন্য নেতা বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছেন- কারো মুখাপেক্ষী হয়ে নয় বরং নিজেদেরকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে উন্নতি করতে হয়। আমাদের জাতির পিতার রক্তের সুযোগ্য উত্তরাধিকার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও একই নীতিতে বিশ্বাস করেন। তার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ গত এক দশকে অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্মুখীন হয়েছে। ইতোমধ্যে এলডিসি থেকে উত্তরণের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে, ইস্তাম্বুল কর্মসূচির মেয়াদ (২০১১-২০২০) শেষেও ২০২০ সালের মধ্যে এলডিসির সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনার লক্ষ্য পূরণ হয়নি। মাত্র চারটি দেশ উত্তরণ লাভ করেছে এবং বাকি পাঁচটি উত্তরণের প্রক্রিয়ায় রয়েছে।

সভায় যোগদানকারী সব প্রতিনিধিদের উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, কাঙ্খিত অর্থনৈতিক পরিবর্তনে সবাইকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। জাতিতে জাতিতে বিভেদ নিরসনে সব উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশকে পারস্পারিক আন্তরিক সহযোগীর হাত প্রসারিত করতে হবে। কাউকে পেছনে ফেলে নয়, সবাইকে একসাথে নিয়েই উপরে উঠতে হবে।

এএ