সিরাজগঞ্জে যমুনার পানিতে ডুবে গেছে ৫ হাজার হেক্টর ফসলি জমি
জেলা প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০২১-০৯-০৫ ১৫:৪২:২৮
সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি কিছুটা কমলেও অভ্যন্তরীণ নদ-নদী ও চলনবিলের পানি প্রায় আগের অবস্থাতে রয়েছে। জেলায় পানিবন্দি রয়েছে লাখো মানুষ। তলিয়ে গেছে প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমির ফসল।
এদিকে যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বলছে, ধীরে ধীরে আরও কমবে যমুনার পানি। বাড়ছে পানিবাহিত রোগ।
সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদফতরের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের জন্য জেলা শহর ও পাঁচটি উপজেলায় ৭২১ মেট্রিক টন চাল ও সাড়ে সাত লাখ নগদ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে নদীভাঙন ও নিম্নাঞ্চল এলাকায় শুরু করা হয়েছে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম।
রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপসহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেন ও সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টের গেজ মিটার (পানি পরিমাপক) আব্দুল লতিফও পানি কমার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গত ১৪ আগস্ট থেকে শুরু করে গত ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার নদীতীরবর্তী আরও কিছু নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাটে পানি উঠায় বিপাকে পড়েছেন বন্যাদুর্গতরা। অনেকেই বাড়িঘর ছেড়ে উঁচু রাস্তা এবং স্কুল-মাদরাসার মাঠে খোলা আকাশের নিচে থাকছে।
সিরাজগঞ্জ পাউবোর উপসহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, গত কয়েক দিনে যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত ছিল। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ৮ সেন্টিমিটার কমেছে।
তিনি আরও বলেন, বন্যা পূর্ভাবাস সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, যমুনা নদীর পানি এই মুহূর্তে আর বাড়ার সম্ভাবনা নেই। তবে পানি কমলেও এখনও বিপৎসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বলেন, আমরা ইতোমধ্যে সদর ও শাহজাদপুরের কিছু এলাকায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছি।
তিনি আরও বলেন, জেলার পাঁচটি উপজেলায় ২০০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ এক লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তারা সেটা তাদের চাহিদা অনুযায়ী বিতরণ শুরু করেছেন। এ ছাড়া জেলায় ৭২১ মেট্রিক টন চাল ও আড়াই লাখ টাকা মজুদ রাখা হয়েছে। আমরা নিয়মিত বন্যাদুর্গতদের খোঁজ-খবর রাখছি।
সানবিডি/ এন/আই