বৈশ্বিক ভোজ্যতেল উৎপাদন খাতের বিপর্যস্ত অবস্থা

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২১-০৯-০৯ ১৪:১৩:২৯


করোনা মহামারির সংকটময় পরিস্থতিতে খাদ্যপণ্যের বৈশ্বিক দাম বেড়ে কয়েক বছরের সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। এর ফলে তৈরি হচ্ছে খাদ্যনিরাপত্তা ঝুঁকি। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে খাদ্যপণ্যের দাম ভোক্তাদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। খাদ্যপণ্যের এমন মূল্যবৃদ্ধিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখছে ভোজ্যতেল। খরা, শ্রমিক সংকট ও কীটপতঙ্গের আক্রমণ দেশে দেশে ভোজ্যতেল উৎপাদন খাতকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। ফলে মহামারীর সংকট কাটিয়ে চাহিদায় উল্লম্ফন অনুপাতে সরবরাহ বাড়ছে না।

বিভিন্ন মহাদেশের প্রধান প্রধান উৎপাদক দেশ বহুমুখী প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছে। এর মধ্যে পাম অয়েল উৎপাদনে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া, সরিষা উৎপাদনে কানাডা, সূর্যমুখী উৎপাদনে ইউক্রেন এবং সয়াবিন উৎপাদনে ব্রাজিল ও আমেরিকার কৃষকরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মধ্যে রয়েছেন। পর্যাপ্ত চাহিদা থাকলেও উৎপাদন ঘাটতির কারণে জোগান দিতে পারছে না এসব দেশ। ফলে হু হু করে বাড়ছে ভোজ্যতেলের দাম। আর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে খাদ্যপণ্যের বাজারে।

প্রতি মাসেই খাদ্যপণ্যের বৈশ্বিক মূল্যসূচক প্রকাশ করে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। চলতি বছর এ সূচক ১০ বছরের সর্বোচ্চে উঠেছে। এর পেছনে ভোজ্যতেলের আকাশছোঁয়া দামকেই দায়ী করছে সংস্থাটি। এফএওতে ভোজ্যতেলের বৈশ্বিক মূল্যসূচক গত জুনের পর ৯১ শতাংশ বেড়েছে। মহামারীজনিত বাধা কাটিয়ে বিশ্ব অর্থনীতি যত বেশি গতিশীল হবে, ভোজ্যতেলের দাম তত বেশি বাড়বে বলে মনে করছেন বাজারসংশ্লিষ্টরা।

সানবিডি/এনজে