বাংলাদেশে কোরিয়ান বিনিয়োগের পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাবে: রাষ্ট্রদূত
নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২১-০৯-০৯ ১৭:১৪:৪৯
দক্ষিণ কোরিয়া এবং বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অত্যন্ত সুদৃঢ় উল্লেখ করে বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং কিয়ুন বলেছেন, ‘বাংলাদেশের পঞ্চম বৃহত্তম বিনিয়োগকারী দক্ষিণ কোরিয়া। সামনের দিনগুলোতে এ বিনিয়োগের পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাবে।’
বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) ডিসিসিআইতে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)-এর সভাপতি রিজওয়ান রাহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
লি জ্যাং কিয়ুন জানান, দক্ষিণ কোরিয়ায় রফতানিকৃত বাংলাদেশি পণ্যের ৯৩ শতাংশই শুল্কমুক্ত সুবিধা ভোগ করে থাকে। তবে এলডিসি উত্তরণের পরবর্তী সময়ে বিশেষকরে দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশি পণ্যের বাজার ধরে রাখতে বাংলাদেশকে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষরের উদ্যোগ গ্রহণ করার আহ্বান জানান তিনি।
রাষ্ট্রদূত জানান, ইতোমধ্যে ৭০টি দেশের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার এফটিএ রয়েছে, যার মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীন ও আশিয়ান উল্লেখযোগ্য। তিনি আরও জানান, বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যাল এবং তথ্য-প্রযুক্তি খাত কোরিয়ান উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। বাংলাদেশি পণ্যের রফতানি বাজার সম্প্রসারণে এ দেশের উদ্যোক্তাদের পণ্যে বহুমুখীকরণের ওপর আরও বেশি হারে গুরুত্বারোপের পরামর্শ দেন তিনি। রাষ্ট্রদূত দু’দেশের উদ্যোক্তাদের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়নে বাণিজ্য সংগঠনসমূহের মধ্যকার যোগাযোগ আরও বৃদ্ধির আহ্বান জানান।
এ সময় ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, ‘বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক উত্তর উত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বর্তমানে আমাদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ১.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশের রফতানির পরিমাণ ৩৯৮.৬৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।’ তিনি উল্লেখ করেন, দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্যোক্তাবৃন্দ ইতোমধ্যে বাংলাদেশে ১০৩০.৬৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ করেছে এবং আশা প্রকাশ করেন, আগামীতে কোরিয়ান বিনিয়োগের পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাবে।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্যোক্তাদের চামড়া ও পাদুকা, জাহাজ নির্মাণ, ওষুধ, তৈরি পোষাক খাতের বেকওয়ার্ড লিংকেজ, অটোমোবাইল ও অবকাঠামো, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ, বিদ্যুৎ এবং ইলেকট্রনিক্স প্রভৃতি খাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যকার বাণিজ্য আরও সম্প্রসারণে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষরে সহায়ক পরিবেশ তৈরিতে ডিসিসিআই এবং বাংলাদেশস্থ কোরিয়ান দূতাবাসকে একযোগে কাজ করার প্রস্তাব করেন ডিসিসিআই সভাপতি। রিজওয়ান রাহমান অবহিত করেন যে, ডিসিসিআই এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যৌথভাবে এ বছরের ২৬ অক্টোবর হতে সপ্তাহব্যাপী ‘বাংলাদেশ ব্যবসা ও বিনিয়োগ সম্মেলন’ আয়োজন করবে। এ সম্মেলনের বিটুবি সেশনসমূহে কোরিয়ার বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।
ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এন কে এ মবিন, এফসিএস, এফসিএ এবং সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এএ