‘ন্যাশনাল ওয়াটার গ্রিড লাইন’ চালুর কাজ চলছে
নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২১-০৯-০৯ ১৮:১৮:৫৫
সারাদেশে নিরাপদ পানি সরবরাহের জন্য ‘ন্যাশনাল ওয়াটার গ্রিড লাইন’চালুর জন্য কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (০৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ঢাকা ওয়াসা আয়োজিত গন্ধবপুর ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় ঢাকা ওয়াসাসহ স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন প্রতিষ্ঠানসমূহের চলমান সকল প্রকল্পের কাজ যথা সময়ে শেষ করার নির্দেশ দেন তিনি ।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর ঢাকাসহ সারাদেশে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য অসংখ্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। শতভাগ বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, প্রকল্পের জন্য যেহেতু বৈদেশিক সহযোগিতা নেওয়া হয় সেজন্য প্রকল্পের কাজ যথা সময়ে শেষ করতে হবে।
মো. তাজুল ইসলাম জানান, উপকূলীয় অঞ্চলে পানির স্বল্পতা রয়েছে। কারণ সেখানে লবনাক্ত পানিসহ অসংখ্য সমস্যা রয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পানির স্বল্পতা দেখা যায়। সেজন্য নিরাপদ পানি সরবরাহের জন্য সারাদেশে ‘ন্যাশনাল ওয়াটার গ্রিড লাইন’তৈরির জন্য চেষ্টা করছি, এটি নিয়ে আমরা কাজ করছি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে রুপান্তরের জন্য সবাই সম্মিলিতভাবে কাজ করছি। আমরা শুধু ট্র্যাডিশনাল এগ্রিকালচারের ওপর নির্ভর করতে পারি না। কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার আরও সমৃদ্ধ করতে হবে। আমাদের অবস্থা পরিবর্তনের জন্য শুধু কৃষিখাতই যথেষ্ট নয়, ব্যাপক শিল্পায়নের দিকে নজর দিতে হবে। ইতোমধ্যে নতুন নতুন অনেক শিল্পাঞ্চল হচ্ছে। এছাড়াও একশো ইকোনমিক জোন তৈরি হচ্ছে। যেখানে অসংখ্য শিল্পায়ন গড়ে তোলা হবে। সেক্ষেত্রে পানি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বিষয়। তাই আমরা ভাবছি শিল্পায়নের জন্য প্রয়োজনীয় পানি নিশ্চিতে কাজ করছি।
ঢাকা ওয়াসা ভূর্তকি দিয়ে পানি বিক্রি করছে উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ঢাকা ওয়াসার পানি উৎপাদনে খরচ পড়ে ২২-২৫ টাকা। আর তারা বিক্রি করছে ১৫ টাকা। এভাবে ভুর্তকি দিয়ে কোন প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা সারফেস ওয়াটারে গুরুত্ব দিচ্ছি। বর্তমানে ৬৬ শতাংশ আন্ডারগ্রাউন্ড আর বাকি ৩৪ শতাংশ পানি দেওয়া হচ্ছে সারফেসের মাধ্যমে। তবে টেকসই সমাধানের জন্য অন্তত ৭০ শতাংশ সারফেস এবং ৩০ শতাংশ আন্ডারগ্রাউন্ড ওয়াটারের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছি।
অনুষ্ঠানে ঢাকা ওয়াসার পক্ষ্যে ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান ও চায়না জিও ইঞ্জিনিয়ারিং কো-অপরেশন কোম্পানির ভাইস প্রেসিডেন্ট ওইন ইয়ং চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এ প্রকল্পের আওতায় বারিধারা ক্রসিং হতে রামপুরা ও বারিধারা হতে এয়ারপোর্ট রোড, উত্তরা,গুলশান, বনানী ও কচুক্ষেত এলাকায় পানি সরবরাহ লাইন নির্মাণ করা হবে। এই প্যাকেজে ব্যয় ৫১৮ কোটি টাকা।
ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থানা পরিচালক তাকসিম এ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ ও ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা। এছাড়া প্রকল্প পরিচালকসহ ওয়াসার উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এএ