রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যায় মামলা দায়ের
জেলা প্রতিনিধি আপডেট: ২০২১-১০-০১ ১২:২৭:১৯
কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্প-১ এর নিজ অফিসে বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত বিশ্বব্যাপী পরিচিত রোহিঙ্গা নেতা মাস্টার মুহিবুল্লাহ (৫০) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। তবে মামলার এজাহারে কারো নাম উল্লেখ করা হয়নি।
বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে অজ্ঞাতপরিচয় ১৫-২০ জনকে আসামি করে মুহিবুল্লাহর ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে উখিয়া থানায় এ মামলা করেছেন।
শুক্রবার (১ অক্টোবর) সকালে সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ সনজুর মোরশেদ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পের বাসিন্দা রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা ও আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডে জড়িত একাধিক ব্যক্তিকে চিনেছেন বলে দাবি করেছিলেন হাবিবুল্লাহ। তবে মামলায় কোনো আসামির নাম উল্লেখ করা হয়নি।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গের বাইরে গতকাল বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হাবিবুল্লাহ কথিত আরসা ও আল-ইয়াকিন নেতা হিসেবে পরিচিত মাস্টার আবদুর রহিম, লালু ও মোরশেদকে হত্যায় অংশ নেওয়া ব্যক্তি হিসেবে শনাক্ত করেছেন বলে উল্লেখ করেছিলেন। এসময় হত্যাকারীদের নাম প্রকাশ হলে তাকেও মেরে ফেলা হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
হাসপাতাল মর্গ এলাকায় হাবিবুল্লাহর সঙ্গে কথা বলা গেলেও জানাজার পর মামলা বিষয়ে কথা বলতে বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মুহিবুল্লাহর অনুসারী সচেতন অনেক রোহিঙ্গা বলছেন, ‘হুমকির’ কারণে ‘চিহ্নিতদের’ও আসামি হিসেবে নাম উল্লেখ করা যায়নি।
উখিয়া থানার ওসি আহমেদ সনজুর মোরশেদ বলেন, মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাত আসামি উল্লেখ করে বৃহস্পতিবার রাতে মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। বাদী যেভাবে এজাহার দিয়েছেন, সেভাবে মামলাটি রেকর্ড করা হয়।
তদন্তের পর হত্যায় জড়িতদের মামলায় সংযুক্ত করা হবে বলেও উল্লেখ করেন ওসি।
গত বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে কুতুপালং মেগা ক্যাম্পের মধ্যে লম্বাশিয়ায় অবস্থিত এআরএসপিএইচ কার্যালয়ে একদল অস্ত্রধারী গুলি করে মুহিবুল্লাহকে হত্যা করে। বৃহস্পতিবার বিকেলে উখিয়া কুতুপালং লম্বাশিয়া ক্যাম্প-১ ইস্ট ২ নম্বর কেন্দ্র জানাজা শেষে তার দাফন সম্পন্ন হয়। নয় সন্তানের জনক মুহিবুল্লাহ মিয়ানমারে থাকাকালে স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। রোঙ্গিঙ্গাদের কাছে তিনি ‘মাস্টার মুহিবুল্লাহ’ নামেও পরিচিত।
সানবিডি/ এন/আই