মা ইলিশ রক্ষায় কঠোর নিষেধাজ্ঞার দাবিতে জেলেদের ‘একমত’

জেলা প্রতিনিধি আপডেট: ২০২১-১০-০৩ ১০:৩৭:৩৯


ভোলায় মা ইলিশ রক্ষায় কঠোর নিষেধাজ্ঞার দাবি জানিয়েছে জেলেরা। ২২ দিনের ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞাকে সামনে রেখে সাগর ও নদী থেকে ফিশিংবোট, ট্রলার, নৌকা ও মাছ শিকারের সব সরঞ্জাম নিয়ে ঘাটে ফিরতে শুরু করেছেন জেলেরা।

পাশাপাশি নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেদের নামে বরাদ্দ করা চাল দ্রুত বিতরণ এবং এনজিওর কিস্তি আদায় বন্ধের বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানান তারা।

ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ও ধনিয়া ইউনিয়নের মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মাছ ধরার সরঞ্জাম নিয়ে দল বেঁধে ঘাটে ফিরছেন জেলেরা।

তীরে নোঙর করে ফিশিংবোট, ট্রলার থেকে ইঞ্জিন, জালসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম নিরাপদ স্থানে রেখে দিচ্ছেন। আবার কোনো কোনো জেলে এসব সরঞ্জাম নিয়ে যাচ্ছেন বাড়িতে।

ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ব্যাংকের হাট এলাকার বাসিন্দা মো. মালেক মাঝি জানান, সরকার ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় ট্রলার, নৌকা, জালসহ মাছ শিকারের সব সরঞ্জাম উঠিয়ে নিয়েছেন তিনি। অভিযানের সময় মাছ ধরতে নদীতে যাবেন না তিনি।

একই এলাকার নূরন্নবী মাঝি বলেন, ‘মা ইলিশের অভিযানের কারণে আমরা সাগর থেকে ফিরে এসেছি। কারণ সাগরে মাছ ধরলেও তো বিক্রি করতে পারবো না। তাই আমরা বাড়ি ফিরে এসেছি। অভিযানের পরে আবারও সাগরে ইলিশ শিকার করতে যাবো।’

ভোলা সদর উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মো. জামাল হোসেন জানান, ২২ দিনের মা ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞাকে সফল করতে এরই মধ্যে প্রচার-প্রচারণা করেছেন তারা। নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেদের নামে বরাদ্দকৃত সরকারি চাল দ্রুত বিতরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও নিষেধাজ্ঞার সময়ে এনজিওর কিস্তি আদায় বন্ধের বিষয়ে জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ২২ দিনের মা ইলিশ রক্ষার নিষেধাজ্ঞার কঠোর করার জন্য সকল প্রস্তুত গ্রহণ করেছি। যারা সরকারি আইন অমান্য করে নদীতে গিয়ে মাছ শিকার করবে তাদের জেল ও জরিমানা করা হবে।’

ভোলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিনের জন্য ভোলার মেঘনা নদীর ৯০ কিলোমিটার ও তেঁতুলিয়া নদীর ১০০ কিলোমিটার এলাকায় মা ইলিশসহ সব ধরনের মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। এসময় ইলিশ আহরণের পাশাপাশি পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময়ের ওপরেও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা।

এছাড়া, এদিকে ভোলা জেলায় প্রায় আড়াই লাখ জেলে থাকলেও সরকারিভাবে এ পর্যন্ত নিবন্ধন হয়েছে ১ লাখ ৩২ হাজার জেলের। বর্তমানে জেলে নিবন্ধন চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছে মৎস্য বিভাগ।

সানবিডি/ এন/আই