‘দশমিক ০১ শতাংশ দিলেও পাচ্ছে ১০ শতাংশ’
আপডেট: ২০১৬-০১-৩০ ১৬:০৮:২৭
শিল্পকে সহায়তার জন্য বিদেশী কিছু প্রতিষ্ঠান স্বল্প সুদে ঋণ দিচ্ছে। বিশেষ করে জাইকা দশমিক ০১শতাংশ সুদে সরকারকে এই ঋণটি দিলেও বাংলাদেশ ব্যাংক ও অন্যান্য সংস্থাগুলো এর উপর সুদ আরোপ করায় শিল্পদ্যোক্তারা ১০শতাংশ সুদে ঋণ পাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন তৈরি পোশাক শিল্প মালিকরা।
এরফলে ঋণ প্রদানের উদ্দেশ্য ব্যাহত হচ্ছে বলে মনে করছেন তারা। তাদের মতে, পৃথিবীর অনেক দেশে সুদের হার ১ শতাংশ হলেও আমাদের দেশে তফসিলি ব্যাংকগুলোর সুদের হার ১৫ থেকে ১৮ শতাংশ। ফলে উদ্যোক্তারা ঋণের সুফল পাচ্ছেন না।
শনিবার রাজধানীর ডেইলি ষ্টার সেন্টারে পোশাক শিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ ও ডেইলি ষ্টার আয়োজিত এক গোলটেবিল সভায় মালিকপক্ষের কয়েকজন নেতা এ অভিযোগ করেন।
এতে করে ঋণ দেওয়ার উদ্দেশ্য ব্যাহত হচ্ছে বলে মনে করছেন তারা। পোশাকশিল্প মালিকদের মতে, পৃথিবীর অনেক দেশে সুদের হার ১ শতাংশ হলেও আমাদের দেশে তফসিলি ব্যাংকগুলোর সুদের হার ১৫ থেকে ১৮ শতাংশ। ফলে উদ্যোক্তারা ঋণের সুফল পাচ্ছেন না।
সভায় বিজিএমইএ সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, জাইকা দশমিক শূন্য ১ শতাংশ সুদে সরকারকে এই ঋণ দিলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও অন্যান্য সংস্থাগুলো এর ওপর প্রায় ১০ শতাংশ সুদ আরোপ করেছে। এতে করে আমরা স্বল্প সুদে ঋণ পাচ্ছি না। এতে করে ঋণ দেওয়ার উদ্দেশ্য ব্যাহত হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, গ্যাস সরবরাহ, বিনিয়োগ প্রবাহ অব্যাহত রাখতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিশ্চিত করতে হবে, যেমন- ভৌত অবকাঠামো, বিশেষ করে উন্নত সড়ক ও যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং অর্থায়নের জন্য উদ্যোক্তাদের কাছে প্রতিযোগিতামূলক সুদহারে পৌঁছানো।
একই সুরে কথা বলেন সংগঠনটির প্রাক্তন সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি বলেন, গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরপরেও গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে জ্বালানি তেলের দাম বিশ্ববাজারে কমলেও আমাদের দেশে কমছে না।
বিজিএমইএ’র প্রাক্তন সভাপতি আনিসুর রহমান সিনহা বলেন, দিন দিন বিজনেস কস্ট (ব্যবসা খরচ) বাড়ছে। তবে বিদেশি ক্রেতারা পোশাকের দাম বাড়াচ্ছে না।
ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অংশ নেন শ্রম সচিব মিকাইল শিপার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান, ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেন্স ব্লুম বার্নিকাট, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়াউদুনসহ বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও শ্রমিক সংগঠনের নেতারা ছিলেন।
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অস্ট্রেলিয়ার আরএমআইটি ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. শরিফ আস সাবের।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস