বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের বিরল কৃতিত্ব অর্জন

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২১-১০-১৮ ১৭:৪০:৫৮


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের (ইউএসজিবিসি) লিড সার্টিফিকেট অর্জন করেছে বাংলাদেশের ১৫০টি তৈরী পোশাক কারখানা। বিশ্বের কোনো একক দেশ হিসেবে এটি বিরল ঘটনা।

বাংলাদেশে পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ জানায়, ১৯৯৯ সাল থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের (ইউএসজিবিসি) লিড সার্টিফিকেশন-এর প্রবর্তন করে। মূলত নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে কোনো স্থাপনা এবং এর সাইটের পরিবেশগত ভূমিকার পর্যালোচনা করে পয়েন্ট রেটিং-এর মাধ্যমে এই সার্টিফিকেশনটি দেওয়া হয়। যা স্থাপনাগুলোকে আরও পরিবেশবান্ধব করে তোলা এবং ভবনের নকশার ক্ষেত্রে টেকসই চিন্তাভাবনার প্রসারেরই লক্ষ্য।

এদিকে থেকে বিশ্বে উচ্চমান সম্পন্ন মোট ১৫০টি পোশাক কারখানার মধ্যে ইউএসজিবিসি গ্রেড পয়েন্ট ৪০-৪৯ পেয়েন্টস পেয়েছে ৪টি কারখানা, ৫০-৫৯ পয়েন্ট পেয়ে সিলভার হয়েছে ৯টি, ৯৩টি ৬০-৬৯ পয়েন্টস নিয়ে গোল্ড এবং ৮০ থেকে ১০০ পয়েন্টস পেয়ে ৪৪টি প্রতিষ্ঠান প্লাটিনাম হয়েছে।

এই কারখানাগুলোর মধ্যে ঢাকায় ৫২, গাজীপুরে ৫৯, নারায়ণগঞ্জে ১০, চট্টগ্রামে ১৭, পাবনায় ৩, ময়মনসিংহে ৬টি, সাভার ৬, হবিগঞ্জে ৩টি এবং যশোরে ১টি।

অনন্য এই অর্জন সম্পর্কে বিজিএমইএ পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারের রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশের পোশাক শিল্প নানামুখী চাপের মুখে পড়ে। এই সময়ে বাংলাদেশের পোশাক কারখানায় শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও কাজের পরিবেশ উন্নয়নে ইউরোপীয় ক্রেতারা গড়ে তোলেন অ্যাকর্ড। একইভাবে উত্তর আমেরিকান পোশাক ক্রেতাদের জোট অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স সেফটি বা সংক্ষেপে অ্যালায়েন্স গঠিত হয়। বাংলাদেশে নানান চড়াই-উৎরাইয়ের মধ্য দিয়ে কাজ করে শ্রমিকদের কাছে বেশ প্রশংসিত হওয়া অ্যাকর্ড ২০২০ সালের ১ জুন শ্রমিক ইউনিয়ন-ব্র্যান্ড-শিল্প সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত আরএসসি’র কাছে বাংলাদেশ অ্যাকর্ড অফিসের কার্যক্রম হস্তান্তর করে গেলেও নেদারল্যান্ডস থেকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করে যাচ্ছে বাংলাদেশের পোশাক খাতকে। তবে এই অর্জন প্রমাণ করে বাংলাদেশের পোশাক খাত এখন আগের অবস্থানে নেই। বাংলাদেশে যেমন বিশ্বমানের পোশাক তৈরি করে তেমনি এদেশের পোশাক কারখানাগুলোর বিশ্বমানের, পরিবেশবান্ধব।

তিনি বলেন, আমাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দি ভিয়েতনামের গ্রিন ফ্যাক্টরির সংখ্যা ১১০টি, যেখানে আমাদের এই ধরণের ফ্যাক্টরির মোট সংখ্যা ১৭০টি।

এএ