নিষেধাজ্ঞার শেষ মুহূর্তে ইলিশ আহরণে প্রস্তুত জেলেরা
সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০২১-১০-২৫ ১৭:৩৮:৪৩
দেশে মা ইলিশ রক্ষায় আহরণ, মজুদ ও পরিবহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা উঠে যাচ্ছে। বিভিন্ন নদী তীরবর্তী জেলে পল্লীগুলোতে মাছ ধরার প্রস্তুতির জন্য জেলেরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।
মঙ্গলবার রাত ১২টার পর থেকে নদীতে জাল ফেলে মাছ সংগ্রহ করে বিক্রি করে হাতে নগদ টাকা পাবে। তাই জেলে পরিবারে যেন ঈদের আনন্দ বইছে। ৪ অক্টোবর শুরু হওয়া অবরোধ ২৫ অক্টোবর শেষ হচ্ছে।
বিভিন্ন জেলে পল্লীতে দেখা গেছে, কেউ পুরাতন জাল মেরামত করছে, কেউ নতুন জাল বুনছে এবং কেউ মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার মেরামতে ব্যস্ত সময় পার করছে। জেলে পরিবারের নারী ও শিশু সদস্যরাও বসে নাই। তারাও জেলেদের সাহায্য করছে। অবরোধ চলাকালীন সরকার জেলেদের ২০ কেজি করে চাল খাদ্য সহায়তা হিসেবে দিয়েছে। জেলে পরিবারের জন্য এ সহায়তা ছিল অপ্রতুল। জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় প্রত্যেক জেলের মাথার ওপর এনজিও অথবা দাদন ব্যবসায়ীদের ঋণের কিস্তি ঝুলছে। সবাই তাদের সঞ্চয় ভেঙে দিনগুলো কোনোভাবে পার করছে।
ঝালকাঠির ১৭ কিলোমিটার প্রবহমান সুগন্ধা এবং বিষখালীর ৩০ কিলোমিটার মিঠা পানিতে প্রজনন মৌসুমে ডিমওয়ালা মা ইলিশের আগমন ঘটে। সুগন্ধা নদীর বড় অংশটি হচ্ছে নলছিটি উপজেলার ভেতরে। ঝালকাঠির গাবখান নদীর মোহনা থেকে শুরু হয় ইলিশ ধরা। শেষ হয় বরিশালের কীর্তণখোলার পশ্চিমাংশে গিয়ে। সুগন্ধার দীর্ঘ এই ১৭ কিলোমিটারের মধ্যে ঝালকাঠি লঞ্চঘাট, কলেজ খেয়াঘাট, নলছিটির বারইকরণ, সরই, মাটিভাঙা, বহরমপুর, চরবহরমপুর, ষাইটপাকিয়া ফেরিঘাট, নলছিটি লঞ্চঘাট, পুরানবাজার, সুজাবাদ, মল্লিকপুর, খোজাখালী, সারদল এবং ৪০ কিলোমিটার প্রবহমান বিষখালী নদীর দেউরী, ভেরনবাড়িয়া, নলবুনিয়া, ভবানীপুর, বাদুরতলা, চল্লিশ কাহনিয়া, পালটসহ ২০টি এলাকায় শত শত জেলে প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত জাল ফেলে ইলিশ শিকারের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
সানবিডি/এনজে