ঘোড়াশাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্বৃত্ত ৩৩০ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২১-১০-২৫ ২০:৪১:১৫


বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে নেওয়া ঋণের বেঁচে যাওয়া অর্থ কাজে লাগাচ্ছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বাবিউবো)। এজন্য অনুমতি চেয়েছে পরিকল্পনা কমিশনের। অনুমতি পেলে প্রস্তাব যাবে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে। ‘ঘোড়াশাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চতুর্থ ইউনিট রিপাওয়ারিং’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রস্তাব পাওয়ার পর গত ১৪ অক্টোবর পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগের মতামত জানতে চেয়েছে শিল্প ও শক্তি বিভাগ। সেখানে বলা হয়, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব এ বিষয়ে একটি আধাসরকারি পত্র (ডিও) দিয়েছে। সেটি পর্যালোচনা করে তিন কার্যদিবসের মধ্যে মতামত বা মন্তব্য বা পরামর্শ দেওয়ার অনুরোধ করা হলো।

এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের শিল্প ও শক্তি বিভাগের বিদ্যুৎ উইংয়ের অতিরিক্ত সচিব (সংযুক্তি) মো. ফয়জুল ইসলাম  বলেন, উদ্যোগটি ভালো। তবে এখনো অনুমোদন দেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।

সূত্র জানায়, ঘোড়াশাল ২১০ মেগাওয়াট চতুর্থ ইউনিট বিদ্যুৎকেন্দ্রকে রি-পাওয়ারিংয়ের মাধ্যমে অধিকতর দক্ষতাসম্পন্ন ৪০৯ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রে রূপান্তর করার জন্য বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বাবিউবো) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

২০১৬ সালের ৮ মার্চ অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায়‘ঘোড়াশাল চতুর্থ ইউনিট রি-পাওয়ারিং’ শীর্ষক প্রকল্পটি  অনুমোদিত হয়। প্রকল্পটির প্রথম সংশোধিত ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) ব্যয় ধরা হয় মোট ২ হাজার ৭১ কোটি ৯৮ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। এরমধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ২২০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা, বিশ্বব্যাংকের ঋণ হতে ১ হাজার ৬০৪ কোটি ৬৯ লাখ ৩৮ হাজার টাকা এবং বাবিউবোর ২৪৬ কোটি ৭২ লাখ ২১ হাজার টাকা ব্যয়ের লক্ষ্য ছিল। এছাড়া ২০১৬ সালের জুলাই হতে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত বাস্তবায়নের জন্য ২০১৯ সালের ৬ আগস্ট পরিকল্পনা কমিশনে সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। সর্বশেষ প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়া মেয়াদ একবছর বৃদ্ধি করে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পের ক্রমপুঞ্জিত আর্থিক অগ্রগতি ১ হাজার ৪১০ কোটি ৫০ লাখ ১৯ হাজার টাকা ও ভৌত অগ্রগতি ৯৪ দশমিক ৩০ শতাংশ।

সূত্র আরও জানায়, ঘোড়াশাল চতুর্থ ইউনিট রি-পাওয়ার্ড কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের গ্যাস টারবাইন ইউনিট ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর থেকে বাণিজ্যিকভাবে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে। বর্তমানে স্টিম টারবাইনের সঙ্গে গ্যাস টারবাইন সিনক্রোনাইজ করার কাজ চলমান। এ অবস্থায় বিশ্বব্যাংকের ঋণ চুক্তির শর্তানুযায়ী, গ্যাস টারবাইনের যন্ত্রপাতি এবং বিদ্যুৎ সরবরাহে সেবা কাজের জন্য লং টার্ম সার্ভিস এগ্রিমেন্ট (এলটিএসএ) করা আবশ্যক। এই প্রকল্পের আওতায় বৈদেশিক সহায়তা (পিএ) খাতে চুক্তি করা অর্থ (২১৭ মিলিয়ন ডলার) হতে প্রায় ৩৯ মিলিয়ন ডলার অংশ অব্যয়িত রয়েছে। যা স্থানীয় মুদ্রায় দাঁড়ায় প্রায় ৩৩০ কোটি টাকা। এ অবস্থায় বিশ্বব্যাংকের সাথে আলোচনা করে এ অব্যয়িত অর্থ হতে প্রকল্পের আওতায় স্থাপিত গ্যাস টারবাইন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এলটিএসএ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সানবিডি/এনজে