নোয়াখালীতে বরের সঙ্গে সেলফি তোলা নিয়ে সংঘর্ষ , আহত ৮
সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২১-১০-২৮ ১৭:৪০:০৭
নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় বিয়েবাড়িতে বরের সঙ্গে সেলফি তোলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত আটজনকে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার (২৭ অক্টোবর) রাতে হাতিয়া পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আহম্মদ মিয়া বাজারের পাশে কনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- কনের মা কুলসুমা বেগম (৩৫), আত্মীয় আনোয়ারা খাতুন (৭০), বরপক্ষের ইয়াসমিন আক্তার (৩০), সালমা আক্তার (২৮), বরের ভাই মো. মিরাজ (৩৩), মো. মুরাদ (৩০) ও মো. রুবেল (১৫)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় তিন মাস আগে পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কামাল উদ্দিনের ছেলে মো. মিলনের (২৫) সঙ্গে পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের রাশেদ উদ্দিনের মেয়ে রাশেদা বেগমের (১৯) পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বুধবার (২৭ অক্টোবর) কনেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বরের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য বরযাত্রী কনের বাড়িতে আসে। বর ও কনেকে বিদায় দেওয়ার সময় বরের সঙ্গে সেলফি তুলতে গিয়ে কনেপক্ষের এক নারীর সঙ্গে ধাক্কা লাগায় শুরু হয় কথা কাটাকাটি। একপর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে কনের মাসহ উভয়পক্ষের আহত আটজনকে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. নাজিম উদ্দিন বলেন, গতকাল রাতে কনেপক্ষের দুইজন ও বরপক্ষের ছয়জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তারা চিকিৎসাধীন এবং শঙ্কামুক্ত।
এ বিষয়ে বরের ভাই মিরাজ বলেন, তিন মাস আগে আমার ভাইয়ের বিয়ে হয়। গতকাল তুলে নেওয়ার অনুষ্ঠান ছিল। উভয়পক্ষের আন্তরিকতায় খাওয়া-দাওয়া শেষে বর-কনেকে একসঙ্গে দাঁড় করানো হয়। এ সময় বরের সঙ্গে সেলফি তুলতে গিয়ে নারীদের কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে কনেপক্ষের কিছু উত্তেজিত লোক বরপক্ষের লোকজনের ওপর হামলা করে।
কনের মা কুলসুমা বেগম বলেন, বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) সকালে আমার জ্ঞান ফিরেছে। আমি নিজেও অসুস্থ ছিলাম। আনন্দঘন পরিস্থিতিতে কী থেকে কী হয়েছে মনে করতে পারছি না।
হাতিয়া পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দিদারুল ইসলাম খান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে লোকজন নিয়ে কনের বাড়িতে যাই। পরে উভয় পক্ষকে শান্ত করে আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানোর ব্যবস্থা করি। এছাড়াও শেষে কনেকে বরের সঙ্গে পাঠিয়ে দিই।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সানবিডি/ এন/আই